ভার্চ্যুয়াল কোর্টে বিচার শুরু, মুরাদনগরে ৪ আসামীর জামিন, জনমনে স্বস্তি
শরিফুল ইসলাম চৌধুরী: কুমিল্লায় ভার্চুয়াল কোর্টে জামিন শুনানি শুরু হয়েছে। এতে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা জেলা ও দায়রা জজ আদলত ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে চালু হওয়ায় বিচার প্রার্থীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। মঙ্গলবার অনলাইনে জামিনের আবেদন নিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ। এদিন ইমেইলে পাঠানো আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা জজ ও চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জামিনের শুনানির জন্য বুধবার ভিন্ন ভিন্ন ভাবে সময় নির্ধারণ করেন। নির্ধারিত সময়ে কোর্টে থেকে অ্যাপসের মাধ্যমে মামলার নিযুক্ত আইনজীবীর সঙ্গে অনলাইনে যুক্ত হয়েছেন জেলা ও দায়রা এবং সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। এ সময় জেলা জজের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পিপি। বেশ কয়েক দিন ধরে কুমিল্লার বিচার প্রার্থীদের বিচার নিশ্চিতের জন্য এ নিয়ে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছিলেন জেলা ও দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটগণ। এদিকে নতুন নিয়মে কোর্টের ঝটিলতা নিয়ে সিনিয়র আইনজীবীরা প্রথমে হতাশা প্রকাশ করলেও কোর্ট শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলা জজ হাতেকলমে সব নিয়মকানুন বুঝিয়ে দেয়ায় সিনিয়র আইনজীবীরাও ভার্চুয়াল কোর্টে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক এপিপি এড. সৈয়দ তানভীর আহম্মেদ তার ফেসবুক পেইজে ভার্চ্যুয়াল কোর্টের কার্যক্রমকে সাধু বাদ জানিয়ে একটি পোস্টও দিয়েছেন “নতুন ভার্চ্যুয়াল কোর্টে মুরাদনগর ও বাঙ্গরা বাজার থানা আমলী আদালতের প্রথম জামিন শুনানির আসামী কৃষ্ণপুরের মোঃ ইউসুফ খান। প্রথম জামিনপ্রাপ্ত আসামী পায়বের মোঃ হাবিবুর রহমান। ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের এই অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার অংশ হতে পেরে কুমিল্লার বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জনাব সোহেল রানা, আমলী ও বিচার আদালতের বিজ্ঞ বিচারকবৃন্দ, আদালত প্রাঙ্গনের সকল কর্মকর্তাবৃন্দ ও আমার দূর্বার জুনিয়র আইনজীবীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।”
খুবই ভালো উদ্যোগ।