ঝালকাঠিতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তি প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরোর অভিযোগ

Spread the love

আমির হোসেন, ঝালকাঠি প্রতিবেদকঃ ঝালকাঠির পৌরসভার বিকনা এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মোঃ বদিউজ্জামান খান নামে এক ব্যাক্তি আটো দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আপন চাচাত ভাইসহ তিন ব্যাক্তির নামে থানায় মামলা দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যাদেরকে মামলায় আসামী করা হয়েছে তারা হলেন, মোঃ মইন খান, তার চাচাত ভাই মোঃ জাকির হোসেন খান ও ভগ্নিপতি আঃ আজিজ আলী সরদার। মামলা সূত্রে জানা যায়, মোঃ বদিউজ্জামান খানের সঙ্গে চাচাত ভাই মোঃ মইন খা দের দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর জেরে গত ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ইং তারিখ তিনজনের নাম উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে ঝালকাঠি সদর থানায় ঘরে প্রবেশ খুনের চেস্টা করার উদ্দেশ্যে মারপিটের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন মোঃ বদিউজ্জামান খান। মামলাটি তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মোঃ আরিফিন। মামলার প্রধান আসামী মোঃ মইন খান বলেন, জমি নিয়ে মোঃ বদিউজ্জামান খানের সাথেদীর্ঘদিন ধরে মামলা চলছে। ঝালকাঠি সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে দেওয়ানী মামলা নং- ২২/২০২২ করা হলে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। মোঃ বদিউজ্জামান খান আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোর করে জমি দখল করে ঘর তুলেন। ২০ জানুয়ারি আমরা তাকে ঘর তুলতে নিষেধ করা হলে মামলা দিয়ে দেখেনেয়ার হুমকি দেয়। ঐ দিন সন্ধ্যায় কলেজ রোডে অটোরিক্সায় দুর্ঘটনা ঘটে এতে মোঃ বদিউজ্জামান খান আহত হয়। এ ঘটনাকে পুজিঁ করে বদিউজ্জামান খান হামলায় আহত হয়েছে দাবি করে হাসপাতালে ভর্তি হন এবং আমাদের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা মামলা দিতে সক্ষম হয়। এ মামলায় ঝালকাঠির আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল মেজিস্টেড এইচ এম. ইমরালুন রহমান ৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার, মোঃ মইন খান, তার চাচাত ভাই মোঃ জাকির হোসেন খান ও ভগ্নিপতি আঃ আজিজ আলী সরদারকে জামিন মঞ্জুর করেন। অটোরিক্সায় দুর্ঘটনা কথা স্বীকার করে চালক মো. বাবুল বলেন, কলেজ রোড থেকে বৈদারাপুর যাওয়ার পথে অডিটরিয়ামের সামনে মোটরসাইকেলকে সাইড দিতে গিয়ে অপরএকটি অটোর সাথে ধাক্কা লাগে। এতে আমার অটোর যাত্রী মোঃ বদিউজ্জামান আহত হন। এখন শুনছি তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এব্যাপারে মামলার শিকার ভূক্তভূগী পরিবার সুষ্ঠুতদন্তের দাবী করে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *