কুমিল্লার লালমাইয়ের বাল্য বিবাহে লম্পট স্বামী ও কাজী শ্রীঘরে
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কুমিল্লায় ৬৫ বছরের বৃদ্ধার সাথে ১৩ বছরের কিশোরীর বিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। কিশোরীকে অপহরনের পর বিয়ে অভিযোগ মায়ের। কিশোরীর মায়ের দায়ের করা অপহরনের মামলায় অভিযুক্ত বৃদ্ধাকে আটক করেছে পুলিশ।কুমিল্লার লালমাইয়ের পেরুল দক্ষিন ইউয়িনের পশ্চিম পেরুল গ্রামে ৬৫ বছরের বৃদ্ধা রিক্সা চালক সামসুল হক প্রলোভন দেখিয়ে ১৩ বছর বয়সী অষ্টম শ্রেনীতে পড়ুয়া
কিশোরী মরিয়মকে ৫ লাখ টাকা দেন মোহরে ধার্য করে গত ১০ মে বিয়ে করে। বিয়ের বিষয়টি জানা জানি হলে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। বিয়ের পর নব দম্পত্তি একই উপজেলার হরিশ্চর এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকে। স্থানীয়দের প্রতিবাদের মুখে কিশোরী মরিয়মের মা নাসিমা আক্তার লালমাই থানায় বৃদ্ধাসামছুল হককে অভিযুক্ত করে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি অপহরনের মামলা করে। -এরই প্রেক্ষিতে লালমাই থানা পুলিশ গতরাতে লালমাইয়ের হরিশ্চর এলাকা থেকে অপহরণ মামলার অভিযুক্ত বৃদ্ধা সামসুল হককে আটক করে এবং তার বাসা থেকে কিশোরী মরিয়মকে উদ্বার
করে শারীরিক পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। কুমিল্লার লালমাই থানার ওসি মোহাম্মদ আইয়ুব জানায়, কিশোরীর মা নাছিমা আক্তার বাদী হয়ে গত সন্ধ্যায় থানায় অপহরনের মামলা দাখিল করলে গত রাত ৩টায় ৬৫ বছরের বৃদ্ধা রিক্সা চালক সামসুল হককে আটক করে। শনিবার সকালে যথারীতি কুমিল্লা আদালতে পাঠানো হয়। আর ভিকটিম কিশোরী মরিয়মকে শারিরীক পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বৃদ্ধা সামসুল হক জানায়, সে শরীয়তের বিধান মেনে বিয়ে করেছে। গত ৫ বছর নব বধূ মরিয়মের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ৬৫ বছরের বয়োবৃদ্ব সামসুল হক ও ১৩ বছরের কিশোরী মরিয়মের অসম বিবাহ সামাজিক যোগাযোগ (এফবিতে)মাধ্যম ও স্থানীয়দের মাঝে আলোচনার ঝড় উঠেছে।