মুরাদনগরে মোবাইলের আলো দিয়ে লাস দাফন করলো মুরাদনগর যুবলীগ। নিহত ২জন
মুরাদনগর প্রতিবেদকঃ মুরাদনগরে একনারী করোনা পজেটিভ মধ্যরাতে মোবাইলের আলো দিয়ে দাফন করলো মুরাদনগর যুবলীগ। করোনা পজেটিভ নিয়ে মারা গেছে ২জন।
মুরাদনগর উপজেলা যুবলীগের ভারপাপ্ত সভাপতি রুহুল আমিন জানায়, গত শনিবার মুরাদনগর উপজেলার কামাল্লা ইউনিয়নের কামারচর গ্রামের এক নারী করোনা পজেটিভ নিয়ে ঢাকা’য় একটি হাসপাতালে মারা যায়। তথ্যটি টেলিফোনে মুরাদনগর সাংসদ আলহাজ্ব ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন (এফসিএ) করোনা পজেটিভ লাস দাফনকাফন প্রস্তুনি কমিটি মুরাদনগর যুবলীগকে জানায়।এখবর পেয়ে মুরাদনগর উপজেলা যুবলীগের দাফন-কাফন টিমের ১১জন সদস্য(মাহবুবুল আলম মামুন, মোমেন সরকার, নাছির হোসেন,আলাউদ্দিন বেপারী,আবুল বাশার,ইয়াছিন আরাফাত বাবু, সিফাত,পারভেছ,হাফেজ ইব্রাহিম, সোহেল)নিয়ে কামারচর গিয়ে পৌঁছি সন্ধ্যা ০৭.৫৫ মিনিটে। লাশ আনার পরে এলাকাবাসী ভয়ে কেউ কাছে আসেনি, খাটিয়া জন্য মসজিদের ইমামকে ফোন দিয়ে বলা হলে, ইমাম মসজিদে তালা ঝুলিয়ে, অন্যত্র পালিয়ে যায়। পরে এ্যাম্বুলেন্সের স্ট্রেচারে করেই রওয়ানা করি কবরস্থানে। এদিকে ভদ্র মহিলার স্বামী, সন্তান, আত্মীয় -স্বজন, পাড়া,প্রতিবেশি কেউ আমাদের কোন সহযোগিতা করেনি। উল্টো কাঁদা-পানির রাস্তার বিকল্প হিসেবে যেন কম সময়ে, অল্প পরিশ্রমে এবং ঘনীভূত অন্ধকার থেকে পরিত্রাণের জন্য একটু বিদ্যুৎ’র আলো দিয়ে কবরস্থানে যেন যাওয়া যায়। সেজন্য, দু-তিনটি বাড়ীর উপর দিয়ে যেতে চাইলে ঐ বাড়ীর লোকজন, তাদের গেইটে তালা দিয়ে দেয়। এমনকি ভদ্রমহিলার নিজের বাড়ির উপর দিয়ে যেতে চাইলে তার বাবা- ভাই, লাশ নিয়ে যেতে দেয়নি। পরে আমরা কাঁদা -পানির রাস্তা দিয়ে প্রায় ০১কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিয়ে কবরস্থানে পৌঁছি। এ্যাম্বুলেন্সের স্ট্রেচারে রেখেই জানাজা দিয়ে, লাশ কবরে নামানোর জন্য গামছা-তোয়ালে চাইলে,আমরা কোন কিছুই পাইনি।পরে হাতাহাতি করেই লাশ কবরে নামাই। এবার কবরস্থানেও সংকট লাইট ও কোদালের, পরে ২৫মিনিট ঘুরাঘুরি করে একটি মাত্র কোদাল পাই। সেই একটি মাত্র কোদাল এবং মোবাইল ফোনের আলো দিয়েই কবরস্থ করি। সকল প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে আমরা যখন কাজের সমস্ত কাজের ১১.৪০মিনিট। দাফন করি মহিলার লাস। শনিবার দুপুরে আমরা ধামঘর ইউনিয়নে ভূবনঘর গ্রামে আরেকটি লাশ দাফন-কাফন করি।