অনিয়মের অভিযোগে বন্ধ হওয়া সড়কের কাজ উপজেলা প্রকৌশলীকে না জানিয়ে রাতের আঁধারে সম্পন্ন
মাহবুব খান বাবুল,সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিবেদকঃ স্থানীয়দের আন্দোলনের মুখে সরাইল-অরূয়াইল সড়কের সংস্কার কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী। কাজে অনিয়ম থাকায় গত সোমবার দুপুরে উপজেলা প্রকৌশলী ঠিকাদারকে এ নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু গত শুক্রবার রাতের আঁধারে ঠিকারদার উপজেলা প্রকৌশলীকে না জানিয়ে তাঁর লোকজনের মাধ্যমে বন্ধ হওয়া সেই কাজ সম্পন্ন করেছেন। বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলী জেনেছেন শনিবার সকালে। স্থানীয় এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে সরাইল-অরূয়াইল সড়কের কাজ করছেন তিনটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এরমধ্যে সরাইল হাসপাতাল মোড় থেকে লোপাড়া পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার অংশের কাজটি করছেন মেসার্স লোকমান হোসেন নামের একটি প্রভাবশালী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এ অংশের প্রাক্কলিত ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে ৩ কোটি টাকা। আগামী ২৬ জুনের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন করার কথা। কাজটি শেষ পর্যায়ে রয়েছে। শুধু সরাইল হাসপাতাল মোড় থেকে বালিকা উচ্চবিদ্যালয় পর্যন্ত ২৮৫ মিটার কাজ বাকি রয়েছে। গত সোমবার সকাল থেকে হাসপাতাল মোড়ে কাজ শুরূ করেছিলেন ঠিকাদারের লোকজন। বেশ কিছু অংশের কাজ কারার পর কাজে অনিয়ম দেখে স্থানীয় লোকজন সড়কে আন্দোলন করতে থাকে। পরে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা প্রকৌশলী নিলুফা ইয়াছমিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তখন তিনি অনিয়ম দেখে ঠিকাদারকে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। তবে গত শুক্রবার রাতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ওই সড়কের বাকি অংশের কাজ চলছে। কাজের কাছে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগের লোকজনকে পাওয়া যায়নি। একইভাবে এর আগের রাতেও সড়কে কাজ হয়েছে। এলাকার সমাজ কর্মী মো. সজল মিয়া বলেন, দিনের বেলা মানুষের সামনেই কাজে অনিয়ম করেছে। আন্দোলন করে কাজ বন্ধ করতে হয়েছে। আবার রাতের আধাঁরে উনারা ভাল কাজ করবেন? লেপপুজ করে কোন রকমে টাকা উত্তোলন করার ধান্ধা। ঠিকাদার সরাইলের সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিয়ে নিজের ইচ্ছামত রাতে কাজ করেছেন। কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা উপসহকারী প্রকৌশলী আবদুর রাজ্জাক গতকাল শনিবার বলেন, কাল আমি কাজে যেতে পারিনি। তবে সেখানে অন্য কেউ ছিলেন কি না আমি খোঁজ খবর নিচ্ছি। আজই আমি কাজ দেখতে আসছি। অনিয়ম হলে অবশ্যই ঠিক করা হবে। উপজেলা প্রকৌশলী নিলুফা ইয়াছমিন গতকাল শনিবার বলেন, বাকি কাজ সম্পন্ন করেছেন এ কথা আমি আজ (শনিবার) সকালে জেনেছি। সড়কের পুরো কাজ মূল্যায়ন করেই বিল পরিশোধ করা হবে। অনিয়ম থাকলে ব্যবস্থা নেব।