গাইবান্ধা করোনায় (কোভিট- ১৯)২৪ ঘন্টায় সর্বোচ্চ আক্রান্ত ১০৫ জন : মোট আক্রান্ত ৩৯৩ জন

Spread the love

সাইদুল ইসলাম খোকন, গাইবান্ধা প্রতিবেদকঃ প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে গাইবান্ধায় করোনা ভাইরাস(কোভিট -১৯)আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিনই যেন নতুন নতুন রেকর্ড গড়ছে কোভিড- ১৯। গত ৩ রা জুলাই ২৪ ঘন্টায় সর্বোচ্চ আক্রান্ত ১০৫ জন। । সব মিলিয়ে গাইবান্ধায় মোট আক্রান্ত ৩৯৩ জন।এরই মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সবশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে ৩ জুলাই শুক্রবার গাইবান্ধায় মোট করোনা আক্রান্ত ৩৯৩ জন মানুষ। তবে জেলায় ২৪ ঘন্টায় শতকের ঘর পেরিয়ে কোভিড- ১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা ১০৫ জন।জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের রির্পোট অনুযায়ী ১৩৭ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন।করোনা(কোভিট-১৯)যুদ্ধজয়ী ১৩৭ জনের মধ্যে গাইবান্ধা সদরে ২৮ জন, সুন্দরগঞ্জে ০৯ জন, সাদুল্লাপুরে ১৬ জন, গোবিন্দগঞ্জে ৫৭ জন, সাঘাটায় ১২ জন, পলাশবাড়ীতে ১১ জন ও ফুলছড়িতে ৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরেছেন। সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় ৩ জুলাই শুক্রবার নতুন করে আক্রান্ত ১০৫ জনের মধ্যে পলাশবাড়ীতে ১০ জন, ফুলছড়িতে ৭ জন, সাদুল্লাপুরে ৩ জন, সদরে ২৫ জন, সুন্দরগঞ্জে ১০ জন, সাঘাটায় ৭ জন এবং গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ৪৩ জন রয়েছেন। জেলার ৭ উপজেলায় এ পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্ত ৩৯৩ জনের মধ্যে গোবিন্দগঞ্জে সর্বাধিক ১৭৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া সদরে ৬৯, পলাশবাড়ীতে ৪৫, সাদুল্লাপুরে ৩৬, সাঘাটায় ২৫, সুন্দরগঞ্জে ২৮ এবং ফুলছড়ি উপজেলায় ১৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। গাইবান্ধায় বর্তমানে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ২৪৭ জন বিভিন্ন আইসোলেশনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এরমধ্যে ৪১ জন গাইবান্ধা সদরে, সুন্দরগঞ্জে ১৮ জন, সাদুল্লাপুরে ১৯ জন, গোবিন্দগঞ্জে ১১১ জন, সাঘাটায় ১৩ জন, পলাশবাড়ীতে ৩২ জন ও ফুলছড়িতে ১৩ জন।জানা গেছে, এখন পর্যন্ত জেলায় মোট ৯ জন করোনা আক্রান্ত রোগী মারা গেছেন। এরমধ্যে গোবিন্দগঞ্জে ৪ জন, সদরে ১ জন, সাদুল্লাপুরে ১ জন, পলাশবাড়ীতে ২ জন এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় আরও ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। গাইবান্ধা সিভিল সার্জন ডা. এবিএম আবু হানিফ জানান, ‘গত ১৫ জুন থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত জেলার সাত উপজেলায় সংগৃহিত ৫৫৩টি নমুনা এবং পরবর্তী সময়ে আরও ২৮টি নমুনাসহ মোট ৫৮১টি নমুনা ঢাকা, বগুড়া ও রংপুর পিসিআর ল্যাবে করোনা পরিক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ৩ জুলাই শুক্রবার একসাথে ওই ৫৮১টি নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া যায়। এতে ১০৫ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়। তিনি বলেন, ‘পজিটিভ কেসগুলোর অধিকাংশই এখন সুস্থ হওয়ার পথে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিনের রিপোর্ট প্রতিদিন পাওয়া গেলে হয় তো সংক্রমণের সংখ্যা কমতো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *