ঝুঁকিমুক্ত হচ্ছে চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ।। এলাকাবাসির শঙ্কা কাটেনি
মোহাম্মদ বিপ্লব সরকার : দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার কাজ না হওয়ায় চলতি বর্ষা মৌসুমে মেঘনার প্রবল স্রোতে চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তবে আপাতত কিছুটা ঝুঁকিমুক্ত হতে যাচ্ছে শহর রক্ষা বাঁধ পুরানবাজার হরিসভা এলাকা। বাঁধের ফাঁটল ধরা ৯০ মিটার এলাকায় বালিভর্তি জিওব্যাগ ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এজন্য ব্যয় হবে ৮৭ লাখ টাকা। চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. বাবুল আখতার জানান, হরিসভার বাঁধ এলাকার ৯০ মিটার ঝুঁকিপূর্ণ। মেঘনার প্রবল স্রোত ও দীর্ঘদিন যাবত সংস্কার কাজ না হওয়ায় পুরো বাঁধটি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।তিনি বলেন, হরিসভা এলাকা রক্ষায় যেই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, তাতে আপাতত এই এলাকাটি ঝুঁকিমুক্ত হবে। তবে দীর্ঘস্থায়ী ব্যবস্থার জন্য পুরো শহর রক্ষা বাঁধ সংস্কার করতে হবে। এজন্য ৪৩০ কোটি একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সরেজমিন হরিসভা এলাকায় দেখা যায়, বিভিন্ন স্থানে ফাঁটল ধরা ও দেবে যাওয়া স্থানে বালিভর্তি জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে। বুধবার পর্যন্ত বাঁধ এলাকার ১ হাজার ৭শ’ বালিভর্তি জিওব্যাগ ফেলা হয়েছে। আরও বস্তায় বালি ভরে প্রস্তুত করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বাঁধ রক্ষায় স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। এভাবে কাজ করে হরিসভা এলাকা রক্ষা করা যাবে না। এজন্য সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই কর্মকর্তার মতে, হরিসভা এলাকায় ভাঙন ঠেকাতে বরাদ্দকৃত ৮৭ লাখ টাকা দিয়ে ১৯ হাজার বালিভর্তি জিওব্যাগ ফেলা যাবে। চলতি বর্ষায় প্রমত্তা মেঘনায় স্রোত বৃদ্ধি পাওয়ায় চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের পুরানবাজার হরিসভা এলাকা হঠাৎ ভাঙ্গন দেখা দেয়। এতে বাঁধের ৯০ মিটার এলাকায় ফাঁটল ধরে । ওই স্থানটি হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি বৃহৎ উপাসনালয়সহ ঘনবসতি এলাকা।এ এলাকাবাসির মধ্যে এখনো আতন্ক বিরাজ করে চলছে।