মতলব উত্তরে তথ্য আপা ও প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আপত্তিকর ঘটণায় সম্পৃক্ত, জনরোষানলে ৫ ঘন্টা বন্দি, উদ্ধার করলেন পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র
মোহাম্মদ বিপ্লব সরকার : চাঁপুরের মতলব উত্তর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোঃ ফারুক হোসেন তথ্য সেবা অফিসের তথ্য আপা তাসলিমা আক্তারের সাথে অপ্রীতিকর/আপত্তিকর ঘটনায় জনরোষানলে পড়ে ৫ ঘন্টা বন্দি অবস্থা থেকে তাদেরকে উদ্ধার করেন ছেংগারচর পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র আঃ মান্নান বেপারী। এছাড়াও উক্ত বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য মতলব উত্তর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা, চাঁদপুর বরাবরে লিখিত আবেদনপত্র দাখিল করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের প্রার্থনা করেন। উক্ত আবেদনপত্রের অনুলিপি মাননীয় সংসদ সদস্য, চাঁদপুর-২, জেলা প্রশাসক-চাঁদপুর, উপজেলা চেয়ারম্যান- মতলব উত্তর চাঁদপুর, উপজেলা নির্বাহী অফিসার- মতলব উত্তর চাঁদপুর বরাবর প্রেরণ করেন। ঘটনার সূত্রে যানা যায় গত ৭জুলাই মঙ্গলবার রাতে মতলব উত্তর উপজেলা তথ্যসেবা অফিসের আপা তাছলিমা আক্তারের অফিসে অপ্রীতিকর/ আপত্তিকর অবস্থায় প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোঃ ফারুক হোসেনকে পাওয়া যায়। উক্ত ফারুক হোসেন সন্ধা ৬টার সময় তথ্য আপা তাছলিমা আক্তারের অফিসে প্রবেশ করে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করলে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। ইসলামি ফাউন্ডেশন, মতলব উত্তর উপজেলা শাখার ফিল্ড সুপার ভাইজার মোঃ শরীফ হোসেন জানান আমরা ওয়ালি উল্লাহ সরকারের কাছ থেকে তার বাড়ীটি ভাড়া নেই। নিচতলা ইসলামিক ফাউন্ডেশন আর ২য় তলায় তথ্য সেবা অফিস। এখানে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. ফারুক হোসেন প্রায় সময়েই আসে। মঙ্গলবারে তিনি সন্ধাবেলা তথ্য আপা তাছলিমা আক্তারের কাছে আসায় স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। তিনি আরও বলেন সন্ধা ৬.৪৫ মিনিটের সময় আমি দেখি বিল্ডিংয়ের মূল ফটকে ভিতরের দিক থেকে তালা দেওয়া, তখন আমার সন্দেহ হইলে আমি তথ্য আপাকে মোবাইল করি। প্রথমবার তিনি ধরেন নাই, ২য়বার ফোন করি এবং তিনি ধরে আমাকে জিজ্ঞেস করেন যে আপনার কি অফিসে কাজ আছে। তখন আািম বলি কাজ আছে। এরপর তিনি গেট খুললে আমি ভিতরে প্রবেশ করি, জিজ্ঞেস করি ভিতরে কে কে আছে, তিনি বলেন কেউ নেই, আমি ২য় তলায় (উপরে) যেতে চাইলে তিনি আমাকে নিষেদ করেন। এদিকে বাহিরে স্থানীয়রা তাদেরকে ধরার জন্য রাস্তায় জড়ো হয়ে আছেন। বিষয়টি আমি ইউএনও স্যারকে জানাই। স্যার বলেন ওনি আমাদের ষ্টাফ, তালা খুলে দেন। পরে প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের ওয়ালি উল্লাহ সরকারকে বিষয়টি অবহিত করে আমি চলে যাই। স্থানীয় বিল্লাল ও মারূফ জানান ডা. ফারুক হোসেন প্রাণী সম্পদ এর ডাক্তার, তার রাতের বেলা তথ্য অফিসে কি? তিনি প্রতিদিনই এখানে আসেন। প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের অফিস সহায়ক গৌতম সরকার, ড্রেসার ফারুক আহম্মেদ, পলাশ কুমার দাস, বিল্লাল হোসেন, মোঃ ওয়ালি উল্লাহ, মোবারক হোসেন, ও নিজাম উদ্দিন সহ অফিস ষ্টাফরা জানান ডা. ফারুক হোসেন এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ, দুর্নিতীর অভিযোগ সহ অসংখ্য নারী ঘটিত আপত্তিকর ঘটনার সাথে জড়িত সমস্ত অপরাধের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ দিয়ে অবগতির জন্য উক্ত অভিযোগের অনুলিপি মাননীয় সংসদ সদস্য চাঁদপুর-২, জেলা প্রশাসক-চাঁদপুর, উপজেলা চেয়ারম্যান মতলব উত্তর ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মতলব উত্তর বরাবরে প্রেরণ করেছি। এ বিষয়ে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোঃ বখতিয়ার উদ্দিনের সাথে মোবাইলে কথা বললে তিনি জানান এবিষয়ে তদন্ত করে রিপোর্ট দিয়ে দিয়েছি। ঘটনা সত্য। তদন্তকালে দেখা যায় ঐ এলাকার লোকজন আর কিছু করুক না করুক নারী ঘটিত বিষয়ে ট্রল আউট করে না। গত ৭জুলাই স্থানীয় কেউ বলে ২০০ লোক কেউ বলে ৫০০ লোক ডা. ফারুক হোসেন কে উপজেলা তথ্য আপার সাথে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে রাত ১১টা পর্যন্ত অবরুদ্ধ করে রাখে । স্থানীয় মসজিদের ইমাম সাহেবও তার বিরুদ্ধে স্বইচ্ছায় বক্তব্য দেয়। উত্তর মতলবের কয়েকজন লোক ম্যনেজ করে ডা. ফারুক হোসেন এ কাজগুলো করতো। ওখানে ৮৫টি পোষ্টের মধ্যে ৭৪টি পোষ্টে ১৫/২০জন লোক চাকুরি করে। বাকীদের টাকা সে চুরি করে খায়। স্থানীয় লোকজন সে বিষয়ে কিছু না জানলেও বা জানতে না চাইলেও নারী ঘটিত বিষয়ে ছাড় দিতে একদমই চায়না। সেখানে কোন এমপি বা উপজেলা চেয়ারম্যান কোন খোজ খবর রাখেনা। তার ম্যানেজ করা লোকজন এমপি কিংবা উপজেলা চেয়ারম্যান এর কাছে কোন সুপারিশ নিয়া গেলে আমার ধারনা তারা না পড়েই রেখে দেয়। সে প্রতি সাপ্তাহে ঢাকায় প্রাইভেটকার নিয়ে চলে যায়। আমার ধারণা ঢাকাতে সে প্রতি বছর একটি করে ফ্লাট কিনে। আমি তদন্ত রিপোর্ট দিয়েছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে উর্দ্ধতন কর্ক্ষৃপক্ষ। তথ্য আপা তাছলিমা আক্তারকে বিকাল ৪.০৪ মিনিটে তার মোবাইলে ফোন দিলে তিনি জানান বিষয়টি মিমাংশা হয়ে গিয়েছে। এ বিষয়ে এমপি মহোদয়কে ফোন দেন তিনি মিমাংশা করে দিয়েছেন। আমি আর কিছু বলতে চাই না। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত ডা. মোঃ ফারুক হোসেন এর মুঠোফোনে (০১৭১৯-১৫০৭৭৮) এ তাকে বার বার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া গেল না।