চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ কিশোরি ধর্ষক জাহাঙ্গীরকে আটক করেছে
মোহাম্মদ বিপ্লব সরকার : চাঁদপুর সদর উপজেলার তরপুরচন্ডী ইউনিয়নে কিশোরি ধর্ষনের স্বিকার হয়ে অন্তঃসত্বা হওয়ার পর অবৈধ গর্ভপাত ঘটানো হয়েছে।এ ঘটনার হোতা জাহাঙ্গির দর্জিকে আটক করেছে পুলিশ। কিশোরির মা বাদি হয়ে চাঁদুর মডেল থানায় দু জনের নাম প্রকাশ করে অঞ্জাত ব্যাক্তিদের আসামী করে মামলা করেছে। জাহাঙ্গীর দর্জি (৬০) পাশের ববাড়ির মনোয়ারা বেগমের ৫ শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়েকে (১৩) কে বিভিন্ন ভাবে ফুসলিয়ে তার বসত ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক কয়েক বার ধর্ষণেরকরেছে বলে পুলিশের প্রথমিক জিঞ্জাবাদে আটক ধর্ষক জাহাঙ্গির দর্জি জানিয়েছে বলে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক রেজাউল করিম সাংবাদিকদের জানান।এতে কিশোরি ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরে। কিশোরির পরিবারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অবৈধ গর্ভপাত করা হয়েছে বলে জানতে পেরে পুলিশ সুপারের নির্দেশে আমরা বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত শুরু করি। তরপুরচন্ডী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের আনন্দবাজার এলাকার বেপারী বাড়িতে এই ধর্ষনের ঘটনাটি ঘটে। গত শনিবার ববিকেলে চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ ঘটনা স্হলে গেলে ৮ ও ৯ নংওয়ার্ড মেম্বার গন মোবাইল ফোন বন্ধ করে লুকিয়ে থাকে। এ দু মেম্বার বিষয়টি মিমাংশা করে দেয়ার কথা বলে কালক্ষেপন করে অসহায় পরিবারটিকে ঘুরাতে থাকে। মোটা আংকের টাকা ও নাকি তারা হাতিয়ে নিয়েছে। অমহায় পরিবারটিকে নানা ভভাবে হহুমকি ধমকি দদেয়া হয়।ন্যর্য বিচার চচেয়ে ভোক্ত ভভোগি পপরিবারটি তরপুরচন্ডি ইউনিয়ন পপরিষদ চেয়ারম্যান রাসেল গাজীর ককাছে গগেলে তিনি ততাদেরকে থানায় পাঠান।রবিবার দুপুরে লম্পট জাহাঙ্গির দর্জিকে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রাসেল গাজীর সহায়তায় চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ বাবুরহাট এলাকা থেকে আটক করে। চাঁদপুরমডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃনাসিম উদ্দিন জানান,চাঁদপুর সদর উপজেলার তরপুরচন্ডি ইউনিয়নে কিশোরি ধর্ষনের বিষয়টি জানতে পেরে আমরা পুলিশ পাঠিয়ে তদন্ত করি। সত্যতা পেয়ে ধর্ষক জাহাঙ্গির দর্জি কে আটক করেছি। কিশোরির মা মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে জাহাঙ্গীর দর্জি ও তার স্ত্রীর নাম উল্লেখ করে আরো নাম না প্রকাশ করে অনেককে আসামী করা হয়েছে।নারী শিশু নির্যাতন আইনের ৯(১)/৩০ধারার ৩১৩/২০১/৩৪/৫০৬ দঃবিঃতে মামলা করা হয়েছে। মামলা নং ১৯। কিশোরির মা মনোয়ারা বেগম জানান,জাহাঙ্গীর দর্জি আমার মেয়েকে ফুসলিয়ে তার বসত ঘরে নিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষন করে।মেয়েকে ভয় দেখোনো হলে সে বিষয়টি আমাদের কে বলেনি। তার শরীরের পরিবর্তন দেখা দিলে জিঞ্জাসাবাদ করলে সে ঘটনার কথা বলে।পরে জাহাঙ্গিরের স্ত্রী জোড় পূর্বক আমার মেয়ের অবৈধ গর্ভপাত করে। আমি আমার মেয়ের ইজ্জত হনন কাররির সুষ্ঠু বিচার চাই। আটক আসামী জাহাঙ্গিন নিজে ও পুলিশের প্রথমিক জিঞ্জাসাবাদে ধর্ষনের কথা স্বিকার করেছে।কিশোরির মেডিক্যাল পরীক্ষা কররানো হয়েছে ও ২২ধারায়া আদালতে জবানবন্দি নেয়া হয়েছে।আটক জাহাঙ্গির দর্জিকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।