সংকটে চিকিৎসা বঞ্চিত প্রতিবন্ধী রাসেল
সালাহ উদ্দিন, নাটোর প্রতিবেদকঃ মায়ের চোখে প্রতিটি সন্তানের স্বপ্ন রচিত হয়। মূলত মায়ের স্বপ্নই সন্তানের হাত ধরে বাস্তবিক রুপ পায়। তবে হৃদয়ে লালিত স্বপ্ন সব মায়ের হয়ত পূরণ করা হয় না। তেমনই এক মা নাটোরের লালপুর উপজেলার মোহরকয়া মধ্যপাড়া গ্রামের হাসিনা বেগম৷ সাতাশ বছর অাগে স্বপ্ন দেখছিল ছেলে রাসেল বিশ্বাসকে নিয়ে।
তবে সন্তান মায়ের শরীরের একটি অংশমাত্র, নিঃস্বার্থ ভালোবাসায় সন্তানের কষ্ট একমাত্র মা-ই পরিপূণভাবে উপলব্দি করতে পারেন। হয়তো সেই জন্যেই জন্মের পরেই হাসিনা বেগম বুঝতে পারে রাসেল হয়তো তাদের সংসারের বোঁঝা হয়ে দাড়াবে। তার পরেও নিজের বুকের ধন আগলেই রেখেছে, শত কষ্টের মধ্যেও। এরমধ্যেই বাধসাদে গত ডিসেম্বর মাসে ঘাড়ে রগে ব্যাথা। যা দিনে দিনে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উচ্চতায় ৪ ফুট এ মানুষটির ওজন ৫৮ কেজি তবুও দুরন্ত চলাফেরা, কথায় মধুর রস থাকায় সবারই প্রিয়। তবুও শত কষ্টের মধ্যেও পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া রাসেলের ৮ম শ্রেণিতে থামে অর্থ সংকটে। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে বাবা শফিউল ইসলাম নান্নু ২য় বিয়ে করায় পিতৃস্নেহ থেকেও বঞ্চিত হয়ে নিজে মাইকের প্রচার কাজ করে, প্রতিবন্ধী ভাতা ও মানুযের সহযোগিতায় মা হাসিনা বেগমকে সাথে নিয়ে সংসার চালিয়ে যাচ্ছিল। গত ডিসেম্বর থেকে দিন যতই অতিবাহিত হয় রাসেল ততই অসুস্থ হতে থাকে। বর্তমানে রাসেল চলাফেরা করতে পারছে না। এবিষয়ে মা হাসিনা বেগম জানান, তার ৫ ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে রাসেল চতুর্থ, অন্য ছেলেরা সব অালাদা হওয়ায় ও তাদের অার্থিক দূরাবস্থা কারণে ছেলেকে উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছেন না। দিনে দিনে রাসেলের শারিরীক অবস্থা খারাপ হওয়ায় সরকারের কাছে সন্তানের উন্নত চিকিৎসার জন্য অাবেদন জানান তিনি।এছাড়া প্রতিবন্ধী রাসেল জানান, গত ডিসেম্বর মাসে ঘাড়ে রগে ব্যাথা অনুভব করলে অর্থ সংকট থাকায় পল্লী চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে অাসছিলো।বর্তমানে হাতে একটি বসার টুল নিয়ে ২ ধাপ যেতেই বসে পড়ছে, শরীরে যন্ত্রনা বৃদ্ধি পেয়েছে। উন্নত চিকিৎসা না করতে পারলে সুস্থ হওয়ার কোন লক্ষনই নেই বলে জানান সেই পল্লী চিকিৎসক। তাই তার উন্নত চিকিৎসার অাবেদন জানান সরকারি বা বেসরকারি সংস্থা বা বৃত্তবানদের কাছে। এছাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি এনামুল হক বলেন, হাসিনা বেগম তার প্রতিবদ্ধী সন্তানকে নিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। অসহায় এ পরিবারটিকে বাঁচাতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ সমাজের দানশীল ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার উচিত বলে আমি মনে করি।