কালের আবর্তনে ধ্বংস।হচ্ছে তাল গাছ।। বর্ষা এলেই তৈরি করা হয় কোন্দা
মোহাম্মদ বিপ্লব সরকার : কালের আবর্তনে দিনে দিনে হারিয়ে যাচ্ছে রসালো ফল তাল গাছ।এক সময় গ্রামাঞ্চলে প্রচুর তাল গাছের দৃষ্টি নন্দন দৃশ্য দেখা যেত। চাঁদপুর জেলার ৮টি উপজেলায় মানুষ এক সময় তাল গাছের বাগান করে রাখতো। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে তাল গাছের বাতাসে পাতার ফত ফত শব্দ শুনা যাচ্ছে না। প্রতি বছর বর্ষার মৌসুম আসতে না আসতেই দেখা যায় গোড়া সহ তাল গাছ তুলে তা দিয়ে তৈরি করা হয় নৌকার বিকল্প তালের কোন্দা। চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের মহামায়া বাজারের পূর্বাংশে চাঁদপুর -কুমিল্লা আঞ্চলিক মহা সড়কের পাশে তাল গাছ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে কোন্দা। এক একটি তাল গাছের কোন্দা ৪/৫হাজার টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।একটি কোন্দা তৈরি করতে মিস্ত্রীদের সময় লাগ ৪/৫দিন। আর তাল গাছের কোন্দার জন্য তাল গাছ উজার হয়ে যাচ্ছে। চাঁদপুর জেলার চাঁদপুর সসদর,হাজীগঞ্জ, কচুয়া শাহরাস্তি ফরিদগঞ্জে প্রচুর পরিমানে বাড়ি ও সড়কের পাশে তাল গাছের দেখা মিলতো।বাবুই পাখি তাল গাছের পাতার নিচে নিপুন বুনুনে বাসা তৈরি করতো। তাল গাছ কেটে ফেলার কারণে এখন বাবুই পাখির বাসাও চোখে পরে না।প্রতি বছর বর্ষার মৌসুম আসলেই এক শ্রেণীর অসাধু কাঠোরে কোন্দা তৈরির জন্য তাল গাছের মালিকদের অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে গোড়া থেকে তাল গাছ তুলে এনে গোড়ার অংশ দিয়ে তালের কোন্দা (নৌকার বিবল্প)যান তৈরি করে থাকে। এভাবে তাল গাছ কেটে উজার করার ফলে ব্রজ্যপাতে মানুষ মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পেয়েছে অনেকই বলেন।বয় জেষ্ঠ্যবা বলেন আহে ব্রচ্যপাত হলে উচু গাছ হওয়ায় তা তাল গাছে বেশি পরতো। আর এখন তাল গাছ কেটে উজার করে দেয়ার কারণে ব্রজ্যপাতে মানুষের মৃত্যু বেশি হচ্ছে। তাই গাছ লাগিয়ে পরিবেশ বাচাঁনো প্রয়োজন।