অবশেষে ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও সাইক্লোন সেল্টার পদ্মায় তলিয়ে গেল
মোহাম্মদ বিপ্লব সরকার : চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের পদ্মা-মেঘনার ভয়াবহ ভাঙনে চলছে। চোখের পলকে নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে বাড়ি ঘর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।গত কয়েক দিনের নদী ভাঙ্গনে প্রয় সাড়ে ৪ শতাধিক পরিবার তাদের ঘর বাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে উজানের ঢলের পানি চাঁদপুরের পদ্মা মেঘনা নদী দিয়ে সমুদ্রের দিকে প্রবাহিত হচ্ছে।এর ফলে চাঁদপুরের চরাঞ্চল গুলোতে ব্যাপক নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন ব্যাপক ভাবে নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি হাজী হযরত আলী বেপারী জানান,তার ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মজিদ কান্দি, ২ নং ওয়ার্ডের লক্ষিরচর,৩ নং ওয়ার্ডের রাজারচর ৮নং ওয়াডের মাল কান্দিতে সবচেয়ে বেশি নদী ভাঙ্গন চলছে। এ সব এলাকা থেকে ৪শত পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আরো ৫ শত পরিবার হুমকির মুখে রয়েছে।গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও সাইক্লোন সেল্টার টি পদ্মার গহবরে তলিয়ে গেছে।গত শুক্রবার সকাল ১১টা পর্যন্ত ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়টি নদী থেকে প্রায় ৫শ গজ দূরে ছিল। দুপুরের পর প্রচন্ড স্রোত বৃদ্ধি পেয়ে নদী ভাঙ্গন শুরু হয়।ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও সাইক্লোন সেল্টারটি পানির উপর এত দিন ভেসে থাকে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পানি বৃদ্ধি স্রোতধারা বেরে গেলে সকাল ৭টায় ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়টির নিচ থেকে মাটি সরে গেলে তা পদ্মা নদীতে তলিয়ে যায়। বলে ৩ নং ওয়ার্ড মেম্বার পারভেজ গাজী রনি জানান।২মাস পূর্বে উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা ও প্রধান শিক্ষক সফিউল্লা সরকারকে বিদ্যালয়টি বুঝিয়ে দেয়া হয়। নব-নির্মিত ওমর আলী স্কুল ও সাইক্লোন সেন্টারটি ২ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যায়ে নির্মান করা হয়েছিল। এছাড়াও গত কয়েক দিনের ভাঙনে প্রায় ৪শতাধিক বাড়ি ঘর মাঝেরচর,চিরার চর,শিলার চর সহ উচু এলাকায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বর্তমানে আরো প্রায় ৫শ’ বাড়িঘর ভাঙনের হুমকির মুখে রয়েছে বলে চেয়ারম্যান জাজী হযরত আলী বেপারী জানান।