চাঁদপুর শহরের স্বর্ণখোলায় অগ্নীকান্ডে তুলার গোডাউন ও বসত ঘর পুরে ছাই
মোহাম্মদ বিপ্লব সরকার : চাঁদপুর শহরের বাস ষ্টেশন স্বর্ণ খোলা রোডে বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে অগ্নী কান্ডে তুলা তৈরির গোডাউন ও বসত ঘর পুরে ভস্মিভুত হয়ে গেছে।ফায়ার সার্ভিস টিম প্রায় ২ ঘন্টা চেস্টার পর আগুন নিভাতে সক্ষম হলে ও গোডাউন ওবসত ঘর পুরে ছাই হয়ে যায়। সোমবার কসাল ১১টায় বৈদ্যুতিক শটসাকিট থেকে অগ্নীকান্ডের সূত্রপাত হয় বলে চাঁদপুর উত্তর ফায়ার স্টেশন কর্মকর্তারা জানান। স্থানীয়দের জানায়,সকাল প্রায় ১১টায় করিম মাস্টারের মালিকানাধীন টিন সেডের গোডাউনটি জহির নামক জনৈক ব্যাক্তি ভাড়া নিয়ে তাতে ঝুটেরর মাধ্যমে তুলা তৈরি করত।এই তুলার গোডাউনে তারা দেখতে পায় ধাও ধাও করে আগুন জ্বলে উঠে। মুহূত্বের মধ্যে আগুন ছরিয়ে পরেআল আমিন মৃধার বসত ঘর ও অটো রিক্সা চার্জের গ্যারেজে।স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে প্রথমে আগুন নিভানোর চেস্টা করে। আগুনের মাত্রা এতটাই তিব্র ছিল যে কাছাকাছি যাওয়া পর্যন্ত তাদের কস্টসাধ্য হয়ে পরে।পরে চাঁদপুর উত্তর ফায়ার স্টেশন কে খবর দেয়া হলে তাদের ২টি ইউনিট দুপুর ১২টায় ঘটনা স্থলে এসে পানিবাহী গাড়ি থেকে পানি ছিটানোর সময় মেশিনে সমস্যা দেখা দেয়। তা ঠিক করে পানি ছিটাতে কিছুটা বিলম্ব হয়। ততক্ষনে গোডাউন ও বসত ঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।চাঁদপুর উত্তর ফায়ার স্টেশন ইনচার্জ মোঃ লিটন আহম্মদ জানান, আমাদের কে দুপুর ১২টায় খবর দেয়া হলে দ্রুত ঘটনা স্থলে ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করি। প্রায় ২ ঘন্টা চেস্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হই।তবে ধারনা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে অগ্নীকান্ডের সূত্রপাত হতে পারে। তবে অনুসন্ধান ছাড়া প্রাথমিক ভাবে ক্ষয় ক্ষতির পরিমান বলা যাবে না। অগ্নীকান্ডের খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাসিম উদ্দিনের নির্দেশে উপ পরিদর্শক মোঃ রেজাউল করিম ঘটনা স্থলে ছুটে যান।অগ্নীকান্ডে আল আমিনের বসত ঘর, গ্যারেজ ও জহিরের তুলার গোডাউনের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয়রা আরো জানায়,জহিরের তুলা তৈরির গোডাউনে কিছু নারী ও পুরুষ শ্রমিক কাজ করতো। অগ্নীকান্ডের সময় গোডাউনে তেমন কোনো শ্রমিক কাজ করতে আসেনি। ভাগ্যক্রমে শ্রমিকরা কাজে না আসায় প্রাণে ববেঁচে গেছে।