তেমুরিয়া জামে মসজিদে এক যুবককে ঈদের নামাজ পড়তে দিলেন না, রামচন্দ্রপুর (উঃ)ইউনিয়নের আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক
নিজস্ব প্রতিবেদক কুমিল্লা বাঙ্গরা বাজার থানাধীন তেমুরিয়া গ্রামের জামে মসজিদে এক যুবককে ঈদের নামাজ পড়তে দিলেন না, রামচন্দ্রপুর (উঃ) ইউনিয়ন আঃ লীগের সাধারন সম্পাদক-আব্দুল হাকিম।সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় যে, প্রায় চার বছর পূর্বে আব্দুল হাকিমের ছেলে সাঈদ মেম্বারর সাথে একই গ্রামের সৌদি প্রবাসি খলিলুর রহমানের ছেলে আব্দুর রহিমের (৩০) সাথে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয় , এর কিছুদিন পর আব্দুর রহিম সৌদি আরবে চলে যায়। দীর্ঘ তিন বছর পর দেশে আসলে নিজ গ্রামেই ডুকতে পারলেন না তাদের হামলার হুমকির ভয়ে। দেশে এসে দীর্ঘ ছয় মাস বিভিন্ন আত্নীয় স্বজনদের বাসায় আস্রয় নিয়ে থাকতে হচ্ছে | গত প্রায় দেড় মাস পূর্বে আব্দুর রহিম বাঙ্গরা বাজার থানায় এই বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করিলে, বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ প্রসাশনের মাধ্যমে নিজ বাড়ি ঠাই হল তার | পুলিশের সামনেই তাদের অশ্লালীন আচরনের বহিপ্রকাশ ঘটে। এবিষয়ে আব্দুর রহিম (ভিকটিম) বলেন, সাঈদ মেম্বারের সাথে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে আমাদের মাঝে একটি ঝগড়া হয়। এ ব্যাপারে সমাধনের জন্য সাঈদ মেম্বারের ভাই মাহমুদুল হাসানের কাছে গেলে তিনি সমাধানের আস্বাস দিলেও পরে সমাধান না দিয়ে উল্টো হুমকি ধামকি দেয়। পরবর্তীতে সমাধানের জন্য গ্রামের সর্দারদের কাছে গেলে তারাও বিষয়টি সমাধান করতে ব্যর্থ হন। সর্বশেষে, কুমিল্লা ( উঃ) জেলা আঃ লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম সরকারের নিকট ধারস্থ হই, তিনি দুই দুই বার সমাধানের চেষ্টা করেও আব্দুল হাকিম না মানার কারনে তিনি ব্যর্থ হোন। উল্লেখ্য, যে আব্দুর রহিম (ভিকটিম) এর দাদার দান করা জায়গাই মসজিদটি। বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট করাতে স্থানীয় এক সাংবাদিককে আব্দল হাকিম এর ছেলে মাহমুদুল হাসানের হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে ।
রামচন্দ্রপুর (উঃ) ইউনিয়নের আঃ লীগের সাধারন সম্পাদক-আব্দুল হাকিম টেলিফোনে সাংবাদিকদের জানান, আব্দুর রহিম যদি ঈদের নামাজ পরতে আসতে সাহস না পায়। আমরা কি করব। আব্দুর রহিম সাহেদ মেম্বারকে গোন্ডা পান্ডা এনে মারতে এসেছে দুই বছর পূর্বে। এর পর আব্দুর রহিম কোথায় থাকে আমরা জানি না। কখন শুনেছি ঢাকায় থাকে আবার শুনেছি বিদেশে থাকে। আব্দুর রহিমকে মারধর করতে হলে যে কোন যায়গায় মারতে পারি। ঈদগায়ে মারব কেন?আবার ঈদের দিন।