চাঁদপুরে হাইস্প্রিট গ্রুপ অফ কোম্পানীর তৈল বাহী জাহাজ নিয়ে মিথ্যাচার
স্টাফ রিপোটার // বাংলাদেশের নৌ পথে সবচেয়ে বিপুল সংখক নৌ যান হলো হাইস্প্রিড গ্রুপ অফ কোম্পানির যাত্রীবাহী এবং তৈল বাহী জাহাজ।প্রায় দীর্ঘ ৫০বছর যাবত সুনাম ও দক্ষতার সাথে যাত্রী সেবা এবং পণ্য পরিবহন করে আসছে। আর একটি চক্র চাঁদপুরে হাইস্প্রিড গ্রুপ অফ কোম্পানীর জাহাজ নিয়ে মিথ্যাচার শুরু করছে। যেন হাইস্প্রিড গ্রুপ অফ কোম্পানীর সকল প্রকার জাহাজের সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য এ ধরনের মিথ্যার করছে বলে হাইস্প্রিড কোম্পানীর চাঁদপুরের দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার দাবী করছেন। যাত্রীবাহি লঞ্চের পাশাপাশি হাইস্প্রীড গ্রুপ অফ কোম্পানীর তৈল বাহি জাহাজের সংখ্যা সব চাইতে বেশি। আর তৈল বাহি জাহাজ গুলোর বিরুদ্ধে ঐ চক্রটি মিথ্যাচার করে যাচ্ছে দীর্ঘ দিন ধরে। গত ১১আগস্ট হাইস্প্রিড গ্রুপ অফ কোম্পানীর তৈল বাহী জাহাজ এম টি ছামিয়া -২ তৈল বাহী জাহাজ থেকে ১৬০বেরেল পানিস অয়েল নামক (কালো তেল) পাচার করার সংবাদ প্রকাশ করে স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকা।গত রোববার ছিল ৯ আগস্ট। নদীতে কালো তেলের চোরা কারবারি খায়ের ও কাশেম তেল চুরির সাথে সম্পৃক্ত কিনা সে বিষয়ে হাইস্প্রিট কোম্পানীর জাহাজ কতৃপক্ষ জানেনা বলে দাবী করে।এম টি ছামিয়া ২ তৈলবাহী জাহাজ টি গত ৯আগস্ট চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুরের উপর দিয়ে যায়নি। গত ২৮ জুলাই চট্টগ্রাম থেকে ডিজেল ও অকটেন লোড করে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল পদ্মা ডিপোর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে ২৯জুলাই বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল পদ্মা তেলের ডিপোতে নোঙ্গর করে। অপ সাংবাদিক গন এ হাইস্পিড গ্রুপ অব কোম্পানির তৈলবাহী জাহাজকে নিয়ে যে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে কোম্পানীর ভাব মূর্তি ক্ষুন্ন করেছে। খায়েরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার সাথে কেউ কালো তেলের বিষয়ে যোগাযোগ করেনি। তাছারা বহু বছর পূর্বে আমি তেলের কারবার করেছি। এখন আমি কোনো কালো তেলের ব্যবসার সাথে জরিত নই।আমাকে জরিয়ে যে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে তা সম্পূন্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। কাশেম জানান,নদীতে যে তেল চুরি হয় আমি এব্যপারে কিছুই জানিনা। কে বা কারা করছে কিংবা কোন জাহাজ থেকে তেল নামানো হয় আমি তার কিছুই জানিনা।চাঁদপুরের বাইরে যাওয়াতো প্রশ্নই আসেনা। হাইস্প্রিড গ্রুপ অফ কোম্পানীর চাঁদপুরের ম্যানেজার বিপ্লব সরকার বলেন, হাইস্প্রিড গ্রুপ অফ কোম্পানীর যাত্রিবাহী জাহাজের পাশাপাশি অন্যান্য জাহাজ রয়েছে বিপুল সংখ্যক। তার মধ্যে তৈল বাহী জাহাজ সবচেয়ে বেশি। স্হানীয় একটি পত্রিকায় হাইস্প্রিড কোম্পানীর তৈলবাহী জাহাজ এম টি ছামিয়া -২ থেকে ৯ আগস্ট মতলব উত্তরের মোহনপুরে রাতের আধারে ১৬০বেরেল পানিস অয়েল নামক (কালো তেল) পাচার করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু হাইস্প্রিড গ্রুপ অফ কোম্পানীর তৈলবাহি জাহাজে কোনো প্রকার পানিস অয়েল বহন করা হয়না।বহনকরা হয় ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রোল এবং অকটেন । চোরা কারবারির সাথে হাইস্প্রিড গ্রুপ অফ কোম্পানীর তৈলবাহী জাহাজ কতৃপক্ষ জরিত হতে পারেনা।যে জাহাজ চাঁদপুরের উপর দিয়ে গত ২৯ জুলাই ডিজেল ও পেট্রোল নিয়ে গিয়েছে। আর সুনাম ক্ষুন্ন করে বলা হয়েছে ৯ আগস্ট, এটি সম্পূন্ন মিথ্যাচার। এতে সরাসরি প্রতীয়মান হয় কোম্পানির সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্যই এই সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।