দক্ষিনাঞ্চের ইলিশে চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছ ঘাট।।পচা ইলিশ কেটে লোনা দেয়া হচ্ছে
মোঃ বিপ্লব সরকার। চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছ ঘাট দক্ষিণাঞ্চের আর হাতিয়ার ইলিশে সয়লাব হয়ে আছে। চাঁদপুর নদী সীমানায় নেই কোনো ইলিশ।বিভিন্ন স্হান থেকে আসা ইলিশ মাছ চাঁদপুরের ইলিশ বলেই বিক্রি হচ্ছে।তবে বেশির ভাগ ইলিশই পচে গলে একাকার হয়ে আছে। ইলিশের পচা গন্ধে মাছ ঘাটে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। প্রতিদির ১০/১৫টি কাঁঠের তৈরি সমুদ্র জাহাজ যোগে দেশের দক্ষিণাঞ্চল অর্থাৎ ভোলা, চরফ্যাশন, পটুয়াখালি, সমুদ্র সম্মুখ থেকে জেলেরা ইলিশ আহরন করে চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছ ঘাটে ইলিশ আনছে।আবার ট্রাক যোগে নোয়াখালির হাতিয়া থেকেও ইলিশ প্যাকেট জাত করে এ মাছ ঘাটে আনা হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল হতে না হতেই এ মাছ ঘাটটি পাইকার, আড়ৎদার ক্রেতার পদচারনায় আর নিলামের হাকডাকে মুখরিত হয়ে উঠে।গতকাল ১৪ আগস্ট শুক্রবার সকালে মাছ ঘাটে গিয়ে দেখা যায় প্রচুর পরিমানে ইলিশের আমদানি হয়েছে। তবে ৯০ভাগ ইলিশই সমুদ্র এলাকার। ১০ ভাগ ইলিশ চাঁদপুর নদী সীমানার। এসব মাছ স্হানীয় পদ্মার ইলিশ বলে বিক্রি হচ্ছে।তবে প্রকৃত ব্যবসায়িরা সত্য কথা প্রকাশ করেই মাছ বিক্রি করতে ও দেখা যায়। মৎস বণিক সমবায় সমিতির সাবেক সভাপতি ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আলহ্বাজ মিজানুর রহমান ভূইয়া কালু বলেন, চাঁদপুরের নদীতে এক সময় প্রচুর ইলিশ পাওয়া যেত।কিন্তু বর্তমানে এ নদীতে কোনো ইলিশ নেই। ঘাটে যে ইলিশ আসছে তা সমুদ্র এলাকার ইলিশ। এ ইলিশ যদি চাঁদপুর ঘাটে না আসতো তাহলে চাঁদপুর মাছ ঘাটের ঐতিহ্য হারিয়ে যেত। সাবেক সাধারন সম্পাদক রোটাঃ শবে বরাত জানান, কয়েক বছর ধরেই চাঁদপুরের পদ্মা, মেঘনা নদীতে ইলিশের বিচরন নেই। জেলেরা সারা দিন এ নদীতে জাল টেনে ১০টি মাছ ও পেতে কস্ট হয়ে যায়। তাতে পরিবার পরিজন নিয়ে চলা তাদের জন্য কষ্ট কর হয়ে পরেছে।যার ফলে অনেক জেলেই ছুটে চলে সমুদ্রের দিকে, সেখানে ইলিশ আহরন করে তা চাঁদপুর মাছ ঘাটে বিক্রির জন্য নিয়ে আসছে। তিনি আরো জানান,আমরা প্রতিদিন সকালে মাইকিং করে স্বাস্হ্য বিধি মেনে চলার জন্য। কিন্তু শ্রমিকরা কাজ করতে গিয়ে তা মানছে না। তবে অনেক ক্রেতা সচেতন হয়েও অসচেতনের মতো চলা ফেরা করে। মৎস্য ব্যবসায়ি ইকবাল হোসেন বেপারী জানান,সরকার সমুদ্র এলাকায় মাছ ধরা উম্মুক্ত করায় জেলেরা পদ্মা মেঘনায় মাছ না পেয়ে সমুদ্রের দিকে যাচ্ছে। তারা সেখানে প্রচুর পরিমানে ইলিশ আহরন করতে পারছে।সেই ইলিশ চাঁদপুর মাছ ঘাটে আসার কারণে মাছ ঘাটটি প্রাণ ফিরে এসেছে।সরকার যদি এভাবে সমুদ্র এলাকায় মাছ ধরা উম্মুক্ত রাখে তাহলে ব্যবসায়ি, পাইকার, খুচরা বিক্রেতা ও ঘাটের শ্রমিকরা জীবন জিবীকা চালাতে পারবে।তিনি আরো জানান,৫শ থেকে ৭শ গ্রামের সাইজের ইলিশ (সমুদ্রের)প্রতি মণ ১৮/২০হাজার টাকা। যার কেজি সাড়ে ৪শ থেকে ৫শ টাকা।১কেজি ও তার উদ্ধের প্রতি মন ৩২ হাজার থেকে ৩৮হাজার টাকা। যার কেজি প্রায় ১হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া চাঁদপুরের স্হানীয় নদীর ইলিশ ৪০ হাজার থেকে ৪৫ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। সমুদ্র এলাকা থেকে আসা কাঁঠের জাহাজ বুঝাই ইলিশ গুলোর মধ্যে বরফ সংকটে নিচে চাপা পরে থাকা মাছ গুলো পচে যাচ্ছে। দেখা যায় যে পরিমান বরফ নিয়ে তারা সমুদ্র এলাকায় ইলিশ আহরন করতে যায় ৩/৪দিন অবস্হান করলে সেই বরফ গলে যায়। বরফ সংকটের জন্য বেশির ভাগ ইলিশ চাঁদপুর মাছ ঘাটে আসতে আসতে পথেই নস্ট হয়ে যাচ্ছে।