চাঁদপুর শহর রক্ষা বাধ প্রতিরোধে ৪শ’ ২১ কোটি টাকার প্রকল্প
মোহাম্মদ বিপ্লব সরকার ॥ প্রতিবছরই চাঁদপুর শহর রক্ষা বাধের পুরাণ বাজার এলাকায় মেঘনার ভয়াবহ ভাঙন দেখা দেয়। গত এক সপ্তাহ আগ থেকে আবারও নতুন করে ভাঙতে শুরু করেছে। নতুন ভাঙনে ২৫ মিটার এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয়েগেছে। বর্তমানে প্রায় ১শ’ মিটার এলাকা ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। বর্তমানে মেঘনার পানি বিপৎসীমার ৪০.২৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শহর রক্ষা বাধের নতুন বাজার ও পুরান বাজার সাড়ে ৩ কিলোমিটার এলাকা স্থায়ী ও শাক্তিশালী বাধ নির্মাণ করার জন্য ৪২১ কোটি টাকা ব্যয়ের একটি প্রকল্প পানি উন্নয়ন বোর্ড পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছেন। যা বর্তমানে যাচাই বাছাই অবস্থা আছে। মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে ভাঙন এলাকা পরিদর্শনে আসেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কুমিল্লা জোন এর এডিশনাল চীফ ইঞ্জিনিয়ার জহির উদ্দিন আহমেদ। তিনি জানান, মেঘনা নদীর ভাঙন থেকে চাঁদপুর শহরকে রক্ষার জন্য ইতোমধ্যে অর্থাৎ ২০০৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সাড়ে ৩ কিলোমিটার তীর সংরক্ষণ করি। দীর্ঘদিন শহর রক্ষা বাধ ব্যবহার, বর্ষা মৌসুমে নদীর ঢেউ ও ¯্রােতের আঘাতে নির্মিত প্রতিরক্ষা কাজ স্থানে স্থানে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ২০১৯ সালে শহরের পুরাণ বাজার হরিসভা এলাকায় প্রায় ১৫০ মিটার এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। আমরা সেখানে জরুরি ভিত্তিতে প্রতিরোধমূলক কাজ সম্পাদন করেছি। গত কয়েকদিন আবারও নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রায় ১শ’ মিটার এলাকার ৩টি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। আমরা সেখানে জরুরি ভিত্তিতে কাজ করছি। বর্তমানে ভাঙন অবস্থা আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। তিনি আরো জানান, বাধের স্পর্শকাতর স্থানে বালুভর্তি জিও টেক্সটাইল ব্যাগ মওজুদ রেখেছি। পানি সম্পদ মন্ত্রী, উপ-মন্ত্রী, সচিব, মহাপরিচালকসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ চাঁদপুরের পরিস্থিতি সার্বক্ষনিকভাবে নজরদারিতে রেখেছেন। প্রধান প্রকৌশলী আরো বলেন, আমরা চাঁদপুর শহরকে স্থায়ীভাবে রক্ষার জন্য একটি প্রকল্প প্রণয়ন করেছি। এ প্রকল্পের আওতায় আমরা চাঁদপুর শহরের সাড়ে ৩ কিলোমিটার এলাকা আরো মজবুতী, শক্তিশালী ও দৃঢ় করণের জন্য মন্ত্রনালয়ে প্রকল্প দাখিল করেছি। এ প্রকল্পের ব্যায় প্রায় ৪শ’ ২১ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বর্তমানে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে যাচাই বাছাই পর্যায়ে আছে। এ প্রকল্পকে আরো শক্তিশালী ও টেকসই করার জন্য পদ্মা-মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর গতিপথ বিশ্লেষন করে একটি সমীক্ষা কাজ আমরা একই সাথে সম্পাদন করছি। এই সমীক্ষা অনুযায়ী দ্রুত প্রকল্পটি অনুমোদন হলে এবং কাজ সম্পাদন করা হলে প্রতিবছর চাঁদপুর শহর ভাঙন থেকে রক্ষা পাব। পরিদর্শনকালে পানি উন্নয়নবোর্ড চাঁদপুর এর নির্বাহী প্রকৌশলী বাবুল আখতার, নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মো. রুহুল আমিনসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।