করোনা আর উত্তালতায় ভাল নেই চাঁদপুর মোহনা ডিঙ্গি মাঝি সমবায় সমিতির মাঝিরা
মোহাম্মদ বিপ্লব সরকার : চাঁদপুর বড় স্টেশনে মোহনা ডিঙ্গি মাঝি সমবায় সমিতির ডিঙ্গি মাঝিরা করোনা শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ভাল নেই। করোনা শুরু হলে বড় স্টেশন মোল হেড কে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন লকডাউন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে। সেই থেকে ডিঙ্গি মাঝিরা তাদের নৌ যান চলাচল সম্পূর্ন ভাবে বন্ধ রাখে প্রায় তিন মাস পর্যন্ত।মাস খানের পূর্বে এ এলাকার লকডাউন কিছুটা শীথিল করা হলে জনসমাগম শুরু হয়। কিন্তু ডিঙ্গি মাঝিদের দিন ভাল যাচ্ছেনা।পর্যটকরা নদীতে ভ্রমন করতে নৌ যানে উঠছে না। গত ৫ /৬দিন পূর্বে জেলা প্রশাসক কার্যালয় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা মোল হেডে ডিঙ্গি মাঝিদের নিয়ে সভা করেছে যেন মেঘনা নদীতে যাত্রী নিয়ে প্রবেশ না করেন সে জন্য।সোমবার বিকেলে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মোহনা ডিঙ্গী মাঝি সমবায় সমিতির সদস্যরা যেন মেঘনার পারে অলস সময় অতিবাহিত করছে।নৌনমকায় নেই কোনো যাত্রী। মোহনা ডিঙ্গী মাঝি সমবায় সমিতির সভাপতি জান শরীফ ও সাধারন সম্পাদক রহিম মোল্লা। সদস্য মোঃ বাকির হোসেন, স্বপন বেপারী, শাহজাহান,এরশাদ মোল্লা ও জয়নাল গাজী জানান,করোনার শুরু থেকে আমরা নৌ যান চলাচল বন্ধ করে দেই।প্রায় ৩ মাস সম্পূন্ন ভাবে নৌ যান বন্ধ রাখা হয়। সেই সময় পরিবার পরিজন নিয়ে আমরা নিদারুন ভাবে দিন যাপন করতে হয়। প্রশাসন বড় স্টেশন এলাকার লকডাউন সিথিল করলে আমরা আবারো নৌ যান নিয়ে জীবিকার তাগিদে আবার ছুটে আসি। এখানে কমপক্ষে ৭০ টির মতো মালিকের ইন্জিন চালিত নৌকা রয়েছে।আমরা এ সব নৌবা দিয়ে পণ্য পরিবহন করিনা। ভ্রমনে আসা পর্যটকদের নিয়ে ঘন্টা চুক্তিতে ভ্রমন করিয়ে থাকি । বর্তমানে এমন অবস্হা ৭০টি নৌকার মধ্যে ৩০/৩৫ টি নৌকা নিয়মিত ঘাটে আসলেও যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। সারা দিনে ৫ /৬ টি নৌকায় যাত্রী ভ্রমন করেছে। বাকী মাঝিরা যাত্রীহিন ভাবেই মেঘনার তীরে বসে থেকে যাত্রীর অপেক্ষায়।