চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে কিশোরী গণধর্ষণের ঘটনায় চেয়ারম্যানের শালিস বৈঠক হতে ৩ ধর্ষককে আটক করেছে পুলিশ
মোহাম্মদ বিপ্লব সরকার : শাহরাস্তিতে কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগে ৩ ধর্ষককে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার গভীর রাতে (২২ আগষ্ট) রায়শ্রী উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সেলিম পাটোয়ারী লিটনের শালিস বৈঠক হতে তাদের আটক করা হয়। ঘটনার বিবরণে ভিকটিমের দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই ইউনিয়নের উনকিলা গ্রামের ১৮ বছর বয়সী কিশোরীর সাথে একই গ্রামের মৃধাবাড়ির মৃত জাহাঙ্গীর আলমের পুত্র অটোরিক্সা চালক আলমগীর হোসেনের (২০) প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মনোমালিন্যের কারণে তাদের সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পর পার্শবর্তী বোগরা গ্রামের হাজীবাড়ির জহুরুল হকের পুত্র ঢাকায় একটি ওয়ার্কশপে কর্মরত রাকিব হোসেনের (১৮) সাথে ওই কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক তৈরী হয়। রাকিব ও আলমগীর বন্ধু হওয়ার সুবাদে পরস্পর যোগসাজশে গত বৃহস্পতিবার (১৩ আগষ্ট) রাত ৮টার সময় রাকিব ভিকটিমকে ওই গ্রামের জয়নাল আবেদীনের মৎস্য চাষের বেড়ীর পূর্ব পাশের বাঁশঝাড় সংলগ্ন গাছের নিচে ডেকে নেয়। সেখানে রাকিব ও আলমগীর ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। ভিকটিম বাড়ির উদ্দেশ্যে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে ঘটনাস্থলের ১৫ গজ দূরে রাস্তায় পাহারারত তাদের অপর বন্ধু উনকিলা পাটোয়ারী বাড়ির মৃত রুহুল আমিনের পুত্র শফিকুল ইসলাম তাকে পুনরায় ধর্ষণ করে। শনিবার (২২ আগষ্ট) রাতে রায়শ্রী উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম পাটোয়ারী লিটন এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে আসামীদের নিয়ে শালিস বৈঠক আয়োজন করে। অপরাধীদের বাঁচাতে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ভিকটিমের পরিবারকে চাপ প্রয়োগ করে। খবর পেয়ে খিলা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম সংগীয় ফোর্স বৈঠকে অভিযান চালিয়ে ৩ আসামীকে আটক করতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে শাহরাস্তি থানায় একটি মামলা রুজু করে। শাহরাস্তি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহ্ আলম জানান, ইউনিয়ন পরিষদের শালিস বৈঠক হতে অভিযুক্তদের আটক করে হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ভিকটিমের মেডিকেল পরীক্ষার জন্য চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।