চাঁদপুরে জলাবদ্ধতায় কয়েক হাজার পরিবারের দুর্ভোগ চরমে
মোহাম্মদ বিপ্লব সরকার : চাঁদপুর সদর উপজেলা ও হাইমচরসহ চারটি উপজেলায অতি বৃষ্টি ও মেঘনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী তীরবর্তী ১৬টি ইউনিয়নের প্রায় কয়েক হাজার পরিবার পানি বন্ধি হয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কয়েকদিনের মুষল ধারের বৃষ্টি আর জোয়ারের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় চাঁদপুর সদর ও হাইমচরে বসতবাড়ি, মাছের খামার, ফসল ও সড়কের ক্ষতি হয়েছে। রোববার সকালে মেঘনায় জোয়ারের পানি কম থাকলেও শুক্রবার মেঘনার পানি বিপদসীমার ৮১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। গত দুদিন ধরে চাঁদপুরে থেমে থেমে মুষল ধারে বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টির কারণে মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা অনেকটা ব্যহত হচ্ছে। বৃস্টির পানিতে চাঁদপুর শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক, রহমতপুর আবাসিক এলাকা, প্রেসক্লাব সড়ক,মাদ্রাসা রোড,কবরস্হান রোড,পালপাড়া, জাফরাবাদ সড়ক,নাজির পাড়াসহ নিচু এলাকা গুলোতে জলাবদ্ধতা দেখা দে চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা জানান, অতি বৃস্টি আর জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর, হানারচর, ইব্রাহীমপুর, চান্দ্রা, লক্ষ্মীপুর মডেল, তরপুরচন্ডী, বালিয়া, বিষ্ণুপুর ও কল্যাণপুর ইউনিয়নের প্রায় ১৭ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।মবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চরাঞ্চলের মানুষ জন। হাইমচর উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা (পিআইও) জানান, এ পর্যন্ত জনপ্রতিনিধিদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ২০ হাজারেরও বেশী পরিবার জোয়ারের পানিতে অস্থায়ী বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। তবে পূর্ণাঙ্গ তথ্য আসলে এই সংখ্যা আরো বেশী হতে পারে। হাইমচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুর হোসেন পাটওয়ারী বলেন, জোয়ারের পানিতে ৬টি ইউনিয়নের লোকজনই ক্ষতিগ্রস্থ। তবে চরাঞ্চলের লোকজন অস্থায়ী বন্যার মধ্যেই রয়েছেন। হিসাবমতে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৬১টি ওয়ার্ডের লোকজন জোয়ারের পানিতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী বাবুল আখতার জানান, মেঘনার পানি সহসাই কমার সম্ভাবনা রয়েছে। সকালের জোয়ারের পানি কম থাকলেও রাতের জোয়ারে পানি বৃদ্ধি পায়। ঠিক তখনই নদী উপকূলীয় এলাকায় পানি প্রবেশ করে।