মুরাদনগরে আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন

Spread the love

আবুল কালাম আজাদ: উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে আওয়ামীলীগ নেতা, তার ব্যবসায়ী ভাই ও মৎস্য খামার কর্মচারীকে অহেতুক হয়রানির প্রতিবাদে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের সুরানন্দি বাজারে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পাহাড়পুর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস ছামাদ মাঝির সভাপতিত্বে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল আজিজের উপস্থাপনায় উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম সরকার, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক লিটন কুমার ভৌমিক, সমাজ সেবক ছিদ্দিক হোসেন মাস্টার, মঞ্জুরুর আলম, সাবেক মেম্বার কাজী সেলিম সরকার ও জোহর আহম্মেদ প্রমুখ। ভূক্তভোগি ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম বলেন, আমি একজন মৎস্য চাষী। সুরানন্দি গ্রামের নবী নেওয়াজের ছেলে মাদক ব্যবসায়ী শাহপরান আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাদাঁ চায়। চাদাঁ না দেওয়ায় তার স্ত্রী লাকি বেগমকে দিয়ে গত ২৫ জুন আমার ভাই আব্দুর রহিম ওরফে জুলু মিয়াসহ আমার বিরুদ্ধে মুরাদনগর থানায় একটি মিথ্যা মামলা করে। ওই মামলায় আমরা আদালত থেকে জামিনে আসি। এখানে সে ব্যর্থ হয়ে এলাকার কয়েকজন কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় আবার ১৬ জুলাই কুমিল্লার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের ৩নং আদালতে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে আরেকটি মিথ্যা মামলা করেন। এ মামলায় আমার ভাই আব্দুর রহিম ওরফে জুলু মিয়া ৫ দিন কারাভোগ করে জামিনে মুক্ত হন। এখন মামলার বাদী লাকি বেগম ও তার স্বামী শাহপরান লোক মারফত আমার কাছে খবর পাঠান মোটা অংকের টাকা দিলে মামলা তুলে নিবে।মাদক মামলায় ৬ মাসের কারাভোগকারী শাহপরান ও তার স্ত্রী লাকি বেগম আমাদেরকে অহেতুক বার বার মিথ্যা মামলা দিয়ে পারিবারিক, সামাজিক ও আর্থিক ক্ষতিসাধন করছে। তাদেরকে আইনের আওতায় এনে আমাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। মানববন্ধনে অন্যান্য বক্তারা আরো বলেন, পাহাড়পুর ইউনিয়নে কোন সামাজিক দ্বন্দ নেই। শাহপরান শহর থেকে গ্রামে আসার পর মাদক, জুয়া ও মিথ্যা মামলা দিয়ে সমাজের গন্যমান্য ব্যক্তিদের হয়রানি করছেন। যাতে করে ভয়ে তার মাদক ব্যবসা বাধাঁ হয়ে না দাড়াঁয়। এ পরিবারটিকে যেখানে আইনের হাতে তুলে দেওয়া দরকার, সেখানে কিছু কুচক্রী মহল বিভিন্ন ভাবে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে। যার ফলে সাধারণ মানুষ আতংকের মধ্যে আছে এবং গ্রামের শান্তি বিনষ্ট হচ্ছে।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *