চাঁদপুর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের এ্যাম্বুল্যান্স চালকে রফিকের মরদেহ উদ্ধার
মোহাম্মদ বিপ্লব সরকার : চাঁদপুর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের (মাতৃমঙ্গল হাসপাতাল) এ্যাম্বুলেন্স চালক মো. রফিকুল ইসলাম (৫৮) এর মরদেহ ডোবা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার রাত ৯টায় শাহরাস্তি পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড এলাকার একটি ডোবা থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহা সড়কের উত্তর পাশে বাদিয়া এলাকার ডোবায় পানিতে ভাসমান থাকা ওই চালকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রফিকুল ইসলাম পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের বাদিয়া এলাকার ডাকবাংলো বাড়ীর মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে। তার স্ত্রী, ১ কন্যা ও ৪ পুত্র সন্তান রয়েছে। ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাহার উদ্দিন বাহার বলেন, রফিকুল ইসলাম রবিবার সকাল থেকেই ওই ডোবায় থাকা কচুরিপানা পরিস্কার করছিল। দুপুর ১২টার দিকে একবার ডোবা থেকে উপরে উঠতে দেখেছেন লোকজন। পুনরায় আবারো তিনি ওই ডোবাতে কাজ করেন। কিন্তু সন্ধ্যায় বাড়িতে না ফেরার কারণে পরিবারের লোকজন খুঁজতে গিয়ে তার মরদেহ ডোবার পানিতে ভাসমান দেখেন। এরপর লোকজন শাহরাস্তি থানায় সংবাদ পাঠায়। শাহরাস্তি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছি। সুরতহাল করা হয়েছে। এই বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে। রফিকুল ইসলাম মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র চাঁদপুর সদরের এ্যাম্বুলেন্স চালক ছিলেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন চাঁদপুর পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ পরিচালক ডাঃ মোঃ ইলিয়াছ। তিনি বলেন, রফিকুল ইসলাম শনিবার (২৯ আগস্ট) ছুটি নিয়ে বাড়িতে গিয়েছেন। মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে আমরা একজন স্টাফ পাঠিয়েছি ঘটনাস্থলে। ওই স্টাফ জানিয়েছে ডোবা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবার ধারনা করছে ডোবায় কচুরি পানা পরিষ্কার করাবস্হায় হয়তো বিষধর সাপে ধংসন করেছে অথবা হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হতে পারে