ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডিজিটাল মামলায় জামিন পেয়েছে সাংবাদিক লিটন হোসাইন জিহাদ ও আর জে শাখাওয়াত

Spread the love

নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডিজিটাল নিরপত্তা আইনে আইপি চ্যানেল পথিকটিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বার্তা প্রধান লিটন হোসাইন জিহাদ ও তার ছোট ভাই আর জে শাখাওয়াত এর বিরুদ্ধে দিপক চৌধুরী বাপ্পির ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলার জামিন দিয়েছে উচ্চ আদালত। ৪ অক্টোবর রবিবার বিচারপতি এম এনায়েতুর রাহিম ও বিচারপতি মো: মোস্তাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন। উল্লেখ্য গত ১৫ জুন পথিকটিভিতে কর্মরত ক্রিয়েটরদের নিয়ে সাংবাদিকতার একটি প্রশিক্ষনের আয়োজন করে  আইপি চ্যানেল পথিকটিভি। উক্ত অনুষ্ঠানে সাংবাদিকতার প্রাথমিক দিক নিয়ে আলোচনা করেন বিটিভির জেলা প্রতিনিধি মোহাম্মদ আরজু,প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি আল আমিন শাহিন,প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো: রিয়াজ উদ্দিন জামি সহ গাজি টিভি ও যমুনা টিভির প্রতিনিধি

উক্ত প্রশিক্ষনকে কেন্দ্র করে কতিপয় ব্যক্তি কবি লিটন হোসাইন জিহাদকে ও পথিকটিভির প্রশিক্ষনে উপস্থিত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মানহানিকর পোষ্ট দেয় ফেসবুকে।ইর্ষান্বিত হয়ে একটি চক্র লিটন হোসাইন জিহাদের নামে ফেইক আইডি খুলে বিভ্রান্তিরকর পোষ্ট প্রদান করে। যদি এসব ফেইক আইডির বিভ্রান্তিমূলক পোষ্টের কারনে গত ২০ জুন লিটন হোসাইন জিহাদ সন্দেহ জনক একজনের নাম উল্লেখ করে কয়েকজনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পত্র ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় দায়ের করা হয়।

ফেসবুকের ফেইক পোষ্টকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব দিপক চৌধুরী বাপ্পি মিথ্যা এবং প্রতিহিংসা মুলক একটি মামলা প্রদান করেন কবি লিটন হোসাইন জিহাদ ও ভিডিও ক্রিয়েটর আর জে শাখাওয়াত এর বিরুদ্ধে। এমনটাই জানিয়েছেন পথিকটিভির সাথে জড়িত কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মী।এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে কবি ও সাংবাদিক লিটন হোসাইন জিহাদ বলেন,দিপক চৌধুরী বাপ্পি ও তার সহযোগীরা প্রেসক্লাবের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিজয়ী হওয়ার জন্য একটি গেইম হিসেবে আমার ও আর জে শাখাওয়াত এর বিরুদ্ধে এ মিথ্যা মামলাটি দায়ের করেন। এমন কি সাংবাদিকতার নিয়মের বাহিরে আমার বিরুদ্ধে বাজে শব্দ ব্যবহার করে বিভিন্ন অনলাইনে নিউজ করে, আমাকে সামাজিক ভাবে লাঞ্ছিত করেছে যা তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা করার যোগ্যতা রাখে।

মামলার পরও পথিকটিভির সাথে জড়িতে বেশ কয়েকজন কে দিপক চৌধুরী বাপ্পি মোবাইলে মামলাতে জড়ানোর হুমকি দেয় যার অডিও রেকর্ডও আমাদের হাতে আছে।আমি প্রশাসনের কাছে আবেদন করবো মামলাটির সঠিক তদন্ত করার জন্য তাহলে আমার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমুলক ভাবে সামাজিক বিশৃঙ্খলা তৈরি করার জন্য যারা পোষ্ট দিয়েছে তাদের নাটের গুরু বের হয়ে আসবে।

এ বিষয়ে কথা হয় বাংলাদেশ অনলাইন মিডিয়া এসোসিয়েশনের নির্বাহী সভাপতি সৌমিত্র দেব এর সাথে তিনি বলেন প্রেসক্লাবের মতো দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহারে করে একজন অলাইন উদ্যোক্তা ও সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কিভাবে মামলা হয় আমার বুঝে আসে না। এটা স্পষ্ঠতই প্রতিহিংসা ছাড়া কিছুই নই। আমি বিষয়ে সঠিক তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *