চাঁদপুরে যাত্রীবাহী লঞ্চ থেকে অজ্ঞাত তরুনীর লাশ উদ্ধার

Spread the love

মোহাম্মদ বিপ্লব সরকার চাঁদপুর ।।চাঁদপুর ঢাকা নৌ পথে চলাচল কারি যাত্রীবাহী লঞ্চ আব এ জমজমের ২য় তলার স্টাফ কেবিন থেকে অজ্ঞাত তরুনীর (২০) এর লাশ উদ্ধার করেছে চাঁদপুর নৌ থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় চাঁদপুর লঞ্চঘাটে আব এ জমজম লঞ্চের ইঞ্জিন গিজারদের ২৩৫নং কেবিন থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনার খবর শুনে দুপুর ২টায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) স্নিগ্ধা সরকার, চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাসিম উদ্দিন,ইন্টিলিজেন্ট অফিসার মনির হোসেন, চাঁদপুর নৌ থানার সেকেন্ড অফিসার মোঃ জহিরুল হক উপ পরিদর্শক ইলিয়াস হোসেন পরিদর্শন করেন। এই কক্ষটি লঞ্চের গিজার মোঃ সুজন মোল্লা পটুয়াখালি, মোঃ রাসেল খান বরিশাল ও মাসুম গাজী বরিশাল ব্যবহার করতেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদেরকে পুলিশ আটক করেছে। তবে লঞ্চটি দুপুর ১টায় চাঁদপুর ঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও যেতে পারে নি। গিজার মোঃ রাসেল খান জানায়, বুধবার (২১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টায় ঢাকা সদর ঘাট থেকে আব এ জমজম লঞ্চটি চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে । সাড়ে ৬শ’ টাকার বিনিময়ে কেবিনটি এক জোড়া যুবক ও যুবতীকে ভাড়া দেই। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় কেবিনটি পরিস্কার করতে গেলে কক্ষটি বাইরে থেকে তালা বদ্ধ দেখতে পাই। পরে টিকেট কাউন্টারে গিয়ে খবর নিলে কোন চাবি দেওয়া হয় নি বলে জানা যায়। পরে বিষয়টি ঘাট সুপারভাইজার বিল্পব সরকার কে অবগত করলে নৌ থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করলে পুলিশ আব এ জমজম লঞ্চের দ্বিতৃয়তলার স্টাফ কেবিনের তালা ভেঙ্গে অচেনা তরুনীর লাশ দেখতে পায়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) স্নিগ্ধা সরকার জানায়, তরুনীর যার সাথে এসেছে সেই তাকে হত্যা করেছে। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে তার সাথে খারাপ আচরন করা হতে পারে। পরে তাকে পায়জামার ফিতা গলায় পেচিয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়েছে। আমরা প্রাথমিক জিঞ্জাসা বাদের জন্য গ্রীজারদের আটক করেছি। বাকী ঘটনা তদন্ত স্বাপেক্ষে জানাযাবে। আব এ জমজম লঞ্চের মালিক পক্ষের প্রতিনিধি মোঃ বিল্পব সরকার বলেন, কাউন্টার থেকে কেবিন নিলে তা রেজিস্টারে লিখা থাকে। আর স্টাফদের কাছ থেকে নিলে তা লিখা থাকেনা। তবে স্টাফদের ভুল হয়েছে কেন তারা মোবাইল নাম্বার সংগ্রহে রাখেনি। স্টাফদেরকে মালিক পক্ষ কেবিন দিয়ে থাকে। সেটি তারা ভাড়া দিয়ে যা পায় তা দিয়ে তাদের নাস্তার খরচ জোগায়। বিকেলে সি আই ডি এবং পিবি আই ঘটনাস্হল পরিদর্শন করে হত্যার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চালায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *