সম্মিলিত মানবধিকার পরিষদ চাঁদপুরের আলোচনা সভা ও সংবধনা
মোহাম্মদ বিপ্লব সরকার,চাঁদপুর জেলা প্রতিবেদক : সম্মিলিত মানবধিকার পরিষদ চাঁদপুরের আলোচনা সভা ও সংবধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ানের সভাপতিত্বে ডাক্তার শেখ মহসিন ও কাজী বেলাল এর যৌথ সঞ্চালনায় সংবধিত অতিথির বক্তব্য রাখেন মোঃ ইউসুব গাজী। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র অ্যাডঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল। প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত ডাঃ সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধূরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেনঃ , ঢাকা জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্হাপনা একাডেমি পরিচালক প্রফেসর ডঃ মোঃ লোকমান হোসেন,জেলা যুবলীগ যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল, পিপি অ্যাডঃ রনজিত রায় চৌধূরী,বামাকা চাঁদপুর জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক কামাল উদ্দীন পাটোয়ারী।সকল মানবাধিকার সংগঠনের সদস্যদের কে পরিচয় করিয়ে দেন ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ক্রাইম রিপোর্টার ফাউন্ডেশনের চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি ও সম্মিলিত মানবাধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ বিপ্লব সরকার এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মাহবুবুর রহমান সেলিম, পুলিশ পরিদর্শক ( তদন্ত) হারুনুর রশীদ।ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ক্রাইম রিপোর্টার ফাউন্ডেশনের সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট হামিদুর রহমান মজুমদার, সসস্য আবুল কালাম, সদস্য জাহাঙ্গীর গাজী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রুহুল আমিন ,সদস্যআকাশ মিয়াজী, জাহাঙ্গীর মিয়াজী, কামাল আহমেদ, আলাউদ্দিন খোকা , মাসুদ আলম, মোবারক সরকার। পরিবেশ মানবাধিকার সোসাইটি সভাপতি এম এম কামাল, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি সাংবাদিক গাজীর রহমতউল্লাহ,বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির সভাপতি অ্যাড আঙ্গির ফরাজী, জাতীয় মানবাধিকার সমিতির মতলব উত্তর শাখার সভাপতি শহীদুল্লাহ মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক নূর মোহাম্মদ খান, এনপিএস চাঁদপুর জেলা শাখার মাওলানা হিরু ও মাইনুল ইসলাম। প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি বলেন, সম্মিলিত মানবধিকার আজকে যে আয়োজন সত্যি প্রসংশিত। আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করিব আমরা যেন ভাল ভাবে থাকতে পারি। বিজয়ের মাস আনন্দের মাস। আমরা পেয়েছি একটা পতাকা, স্বাধীন ভূখন্ড। মানবধিকারের কথা বলছেন শেখ হাসিনা মানবিকতা দেখিয়ে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছে। এটা সবচেয়ে বড় মানবিকতার পরিচয়। ৭১ এর পরাজিত শক্তি জাতীর পিতার ভাস্কর্যে হাত দিয়েছে। তারা মানবিকতাকে ভুলোন্টিত করেছে। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, ডিসেম্বর মাসে জাতীর পিতাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরন করি। সাড়ে ৭ কোটি মানুষের অধিকার আদায় করেছে। প্রতিটি সংগ্রামিই মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই।জনসধারনের অধিকারের লড়াই মানবধিকারের লড়াই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই মানবাধিকার।ভাস্কর্য ভাঙ্গার আন্দোলন শুধু রাজনৈতিক লড়াই নয়, সম্মিলিত ভাবে এ লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। সংবধিত অতিথি ইউসুব গাজী বলেন, পৃথিবীতে মানুষের অধিকার হলো মানবধিকার। পৃথিবীতে মানবধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন হযরত মুহাম্মদ( সা:)।ফেইজবুকে ওলামা আলেমদের কথা শুনে বুঝা যায় তারা কি বলে। মূর্তির সম্পর্কে বলা হয়েছে। কিন্তু ট্রেচুর সম্পর্কে শুধু বোখারি শরীফে বলা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ট্রেচু থাকেলে প্রজম্ম জানতে পারবে তিনি এ দেশের জাতীর পিতা। বোখারি শরীফে উল্লেখ আছে ধর্ম নিয়ে বারাবারি করোনা।মুক্তিযুদ্ধে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খিস্ট্রান সবাই যুদ্ধ করে এ দেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছেন। অন্যান্য বক্তারা বলেন, মানুষ কিছু অধিকার নিয়ে জম্ম গ্রহন করে। মান ও হুশ নিয়েই গড়া মানুষ। ১৭৫৭ সালে পলাশির যুদ্ধের পর আমরা পরাধীন হয়ে দীর্ঘ দিন থাকতে হয়েছে। ৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা অধিকার আদায় করতে শুরু করি। মানুষ বেশ কিছু অধিকার নিয়ে জম্ম গ্রহন করে। তার মধ্যে শিক্ষার অধিকার, বাসস্থানের অধিকার, খেলাধূলার অধিকার সহ আরো বেশ কিছু অধিকার রয়েছে। মানবিকতা লঘ্নন যেসব কাজ হয় তা থেকে নিযাতিতাকে আইনি সহায়তা পেতে মানবধিকার কাজ করে থাকে।