বেনাপোলে নয়ন হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন
এস এম মারুফ, বেনাপোল(যশোর) প্রতিবেদকঃ যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানাধীন দূর্গাপুর গ্রামে গলায় ফাঁস দিয়ে নৃশংশ ভাবে হত্যা করা আল-আমিন ওরফে নয়ন (২৮) নামে যুবকের হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়েছে। নিহত নয়ন পোর্ট থানাধীন দূর্গাপুর গ্রামের মৃতঃ মিজানের ছেলে। পুলিশ সুত্রে জানা যায়, গত সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক সাড়ে ১২ টার সময় বেনাপোল পোর্ট থানাধীন দূর্গাপুর গ্রামস্থ মুত মিজানুর রহমানের বড় ছেলে বেনাপোল স্থল বন্দরের ৩৭নং শেডের এনজিও কর্মী আল-আমিন হোসেন নয়ন (২৭)কে তার নিজ বাসা থেকে অঙ্গতনামা কে বা কারা ডেকে নিয়ে বাড়ির সংলগ্ন নির্মাধীন পাকা বাড়ির পাশে গলায় রসি বা তার দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ফেলে যায়। এই ঘটনা সংক্রান্তে নিহতের চাচা মোঃ মুন্তাজ আলী বাদী হয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি মামলা করেন। মামলা নং-৪০ তাং-২৮/১২/২০২০ইং, ধারা-৩০২/৩৪। হত্যার রহস্য দ্রুত উদঘাটন ও আসামী গ্রেফতারের জন্য যশোর জেলা পুলিশ সুপার জনাব মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন (পিপিএম)বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা শাখার উপর কঠোর নির্দেশনা প্রদান করেন। তারই পরিপেক্ষিতে পুলিশ সুপার জনাব মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন (পিপিএম) এর দিক-নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) জনাব মোহাম্মদ সালাউদ্দিন শিকদার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডিএসবি জনাব মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম (পিপিএম) এবং নাভারণ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জনাব জুয়েল ইমরান এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ সোমেন দাশের নেতৃত্বে ডিবি’র এসআই মফিজুল ইসলাম (পিপিএম), শামীম হোসেনম নুর ইসলাম সহ বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন খান ও অন্যান্য অফিসার ও ফোর্সের গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) বেনাপোল পোর্ট থানাধীন দূর্গাপুর গ্রামে অভিযান পরিচালনাকালে হত্যায় জড়িত সন্দেহে পোর্ট থানাধীন দূর্গাপুর গ্রামের মৃত লোকমান মির্জার ছেলে জহিরুল ইসলাম ওরফে জহুর আলী ও তার ২য় স্ত্রী কামরুন্নাহার কুটিলাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে আল-আমিন হোসেন নয়ন এর হত্যার দায় স্বীকার করে তারা। তাদের স্বীকারক্তি মতে হত্যা কাজে ব্যবহৃত রশি পুড়ানোর আলামত সহ কড়াই ও বেনাপোল মেইন রোড়স্থ এ.জি এন্টারপ্রাইজ নামক হার্ডওয়্যার দোকান হতে নমুনা রশি জব্দ করা হয়। এসময় জিজ্ঞাসাবাদে তারা নয়ন হত্যার মূল কারন জানায়, ধৃত আসামী জহুর আলীর ২য় স্ত্রী কামরুন্নাহার ওরফে কুটিলার সাথে ভিকটিম আল-আমিন ওরফে নয়নের পরকিয়া সম্পর্ক থেকে শারীরিক সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে কুটিলা অবৈধ সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে স্বামী-স্ত্রী দু’জন মিলে এ হত্যার পরিকল্পনা্ করে ঘটনার রাতে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী কুটিলা জানালা দিয়ে ভেকটিমকে ডেকে নিয়ে তার বাড়ি সংলগ্ন নির্মাধীন পাকা বাড়ির দেয়ালের পাশে নিয়ে তারা দু’জন মিলে গলায় রশি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ফেলে যায়।