মুরাদনগরে প্রাণনাশের ভয়ে বাদী ও স্বাক্ষীরা গ্রামছাড়া

Spread the love

মুরাদনগর প্রতিবেদক ঃ মুরাদনগরে মারামারির ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আদালত থেকে জামিনে এসে ফের বাদীর বাড়ি-ঘর ভাংচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আসামীদের প্রাণনাশের হুমকির মুখে বাদী ও স্বাক্ষীরা গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। কুমিল্লা জেলা মুরাদনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের রামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিগত ১০ অক্টোবর সকালে রামপুর গ্রামের নাজিম মিয়ার বাড়িঘর ভাংচুর করে। ভাংচুরে বাধাঁ দিলে নাজিম মিয়ার স্ত্রী বাসনা বেগম ও তার ছেলে সাকিব হোসেনকে রক্তাক্ত জখম করে। হামলাকারিরা ওই সময় বাসনা বেগমের স্বর্ণের অলংকার ও সুকেসের তালা ভেঙ্গে নগদ ৫০ হাজার টাকা এবং বসত ও রান্না ঘরের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। তাদের শোর চিৎকারে এলাকার লোকজন এসে আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় একই গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে সাজমিরসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে বিগত ২০ অক্টোবর থানায় মামলা করা হয়। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে মামলার বাদীর স্ত্রীকে বিগত ১৭ নবেম্বর রাতে শ্লীলতাহানির ঘটনায় একই গ্রামের মৃত ইদ্রিস মিয়ার ছেলে জাকির হোসেন, মৃত আনু মিয়ার ছেলে সফিক ও আমির হোসেনের ছেলে মোতালিব মিয়ার বিরুদ্ধে গত ১৯ নবেম্বর কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নং-৩ এর আদালতে মামলা হয়। বিজ্ঞ বিচারক ঘটনাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন। থানার এসআই জালাল উদ্দিন গত ১৭ ডিসেম্বর আদালতে উক্ত ঘটনার সত্যতার প্রতিবেদন দেন।এ দিকে গত ২০ অক্টোবর দায়েরকৃত মামলায় আসামীরা সম্প্রতি আদালতে হাজির হয়ে জামিনে বাড়ি এসে বাদী ও স্বাক্ষীদের উপর চড়াও হয়। গত ১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭টায় রামপুর গ্রামের মৃত মাজুদ্দিন ব্যাপারির ছেলে মোসলেম উদ্দিনের নেতৃত্বে আসামীরা মামলা তুলে নিতে পরিকল্পিত ভাবে প্রাণনাশের হুমকিসহ ফের বাড়ি-ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। আসামীদের হুমকির মুখে নিরূপায় হয়ে বাদী ও স্বাক্ষীরা বাড়ি ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এ বিষয়ে ঘটনার শিকার নাজিম মিয়া বাদী হয়ে গত ৩ এপ্রিল শনিবার মোসলেম উদ্দিনসহ ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে মুরাদনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়। অপর দিকে উক্ত ঘটনায় অভিযুক্ত মোসলেম উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি হানিফ সাহেবের মাধ্যমে মিমাংসা করার কথা ছিল। আপোস না হওয়ায় তারা জামিনে এসে বাদীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়েছিল।’ মুরাদনগর থানার ওসি সাদেকুর রহমান বলেন, ‘আসামীদের হুমকিতে বাদী ও স্বাক্ষীরা বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়ানোর খবরটি সঠিক নয়। তারপরও বিষয়টি কেউ আমাকে লিখিত ভাবে অবহিত করলে আমি খোঁজ খবর নিয়ে দেখব।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *