সাহেদাগোপ গ্রামের গৃহবধু রুনা আক্তার হত্যা নাকি আত্ম হত্যা
আবুল কালাম আজাদ ভূইয়াঃ সাহেদাগোপ গ্রামের গৃহবধু রুনা আক্তার (২২)কে হত্যা নাকি আত্ম হত্যা। পরিবারের দাবি করেন, হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখছে। পরিবারের দাবি, শশুর বাড়ীর লোকজন হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখছে। ঘটনাটি মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল/২১ খ্রিঃ ভোরে কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন শ্রীকাইল ইউনিয়নের শাহেদাগোপ গ্রামের ঘটে। শাহেদাগোপ গ্রামে মৃত ছোট মিয়ার সৌদী প্রবাসী ছেলে মাসুদ গত দু বছর আগে একই ইউনিয়নের বড়িয়াচরা গ্রামের মৃত জহর আলীর ছোট মেয়ে রুনা আক্তার (২২)কে বিয়ে করেন, বিয়ের কিছুদিন পর মাসুদ চলে যায় সৌদি আরবে। এর আগে ও মাসুদ একই থানাধীন কুড়ের পাড় গ্রামে বিয়ে করেছিলেন। মেয়ের চাচা মোঃ জজ মিয়া বলেন, তারা আমার ভাতিজিকে মেরে ঝুলিয়ে রাখছে। নিহত রুনা আক্তার ভগ্নিপতি সাদেক হোসেন বলেন, ভোর ৪ টায় আমি আমার শালীর সাথে কথা বলেছি, সকাল ৭ টায় ফোন করে তারা জানিয়েছে রুনা পানিতে পরে মারা গেছে, রুনার শাশুড়ির নির্যাতনে সে মারা গেছে আমি এদের বিচার চাই। ভিকটিমের শাশুড়ী জাহেনারা বলেন আমার ছেলের বউয়ের সাথে কোন ঝগরা হয়নি রাতে এশার, তারাবি নামাজ পরেছে শেষ রাতে সেহরি খেয়ে নামাজ পড়ে ঘুমিয়ে গেছে সকালে ডাকাডাকি করে দেখি ঘরের তীরের সাথে ফাঁসি দিয়ে ঝুলে আছে, কি কারনে ফাঁসি দিয়েছে আমি জানিনা। এ ব্যপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাঙ্গরা বাজার থানার এস আই মনমোহন রায় বলেন, আমরা লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাচ্ছি, পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করলে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে