মুরাদনগের বেড়েছে সেবার মান কমেছে ভোগান্তি
আবুল কালাম আজাদঃ মুরাদনগর উপজেলায় দায়িত্ব নেয়ার পর প্রতিটি দপ্তরের কর্মকান্ডে পেয়েছে গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা। কমেছে জনভোগান্তি আর বেড়েছে জনসেবার মান। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা বান্ধব নানান কর্মসূচিতে অবদান রাখায়, পুরস্কার হিসাবে গত বছর তিনি শিক্ষা ক্যাটাগড়িতে জেলায় শ্রেষ্ঠ ইউএনও নির্বাচিত হয়েছিলেন। অফিস শেষ করে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যান তিনি। নিজের দায়িত্বরত উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘোরেন। কৃষক, শ্রমিক-রাস্তার পাশের অসহায় মানুষের হাতে তুলে দেন খাবারের প্যাকেট। এমন কি গত কনকনে শীতে বেদে পল্লীতে রাতের অন্ধকরে গিয়ে খাবার ও শীতবস্ত্র তোলে দিয়েছেন তিনি। যার ছবি সমজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরেছে অনেক দিন। তিনি কুমিল্লা জেলার মুরাদনগন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অভিষেক দাশ। স্থানীয় প্রশাসনের এই কর্মকর্তা এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে হয়ে উঠেছেন অনন্য এক মানুষ। ধানকাটা শ্রমিক, মাটিকাটা শ্রমিক, ইটভাটার শ্রমিক, হকার থেকে শুরু করে বেদে পল্লীর দুস্থ মানুষের আপনজন হয়ে উঠেছেন তিনি।৩১তম বিসিএসের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা অভিষেক দাশ বলেন, প্রশাসনের কর্মকর্তারা গ্রামে দায়িত্ব পালন করার সময়ে দু:স্থ, অসহায় মানুষের কাছাকাছি থাকতে পারেন। পদোন্নতি বা শহরে দায়িত্ব পালন করলে সেভাবে এটা করা সম্ভব হয় না। তাই সাধারণ মানুষের জন্য এখনই কিছু করার সময়।’ তাই তিনি এই বৈশি^ক করোনা কালিন সময়ে সরকারি দায়িত্ব পালনের বাইরে চলমান সমস্যার মধ্যে অতি সাধারণ মানুষের কাছে খাবার পৌছে দিচ্ছেন। অভিষেক দাশ আরও বলেন, ‘সরকারি দায়িত্ব পালনকালে ব্যস্ততার কারণে সেভাবে সাধারণ মানুষের কথা জানা হয় না। কিন্তু খাবার পৌঁছে দিতে গিয়ে সরাসরি প্রান্তিক মানুষের সঙ্গে মিশতে পারছি, তাদের কথা শুনছি। এতে নিজের দায়িত্ব পালনও সহজ হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের একজন কর্মকর্তাকে মাঝে পেয়ে সাধারণ মানুষও আনন্দিত হচ্ছেন।’ মুরাদনগর উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএমএস পেয়ে এ পর্যন্ত উপজেলার ২২ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ১ হাজার ৫শ’ জন মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করেছেন। উপজেলার একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাশ উপজেলায় দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই জনবান্ধব কাজ করে আসছেন। সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে যাচ্ছেন। বিশেষ করে জমি আছে ঘড় নাই ও ভূমিহীনদের আশ্রয়ান প্রকল্পে স্বচ্ছতা ও বিশেষ তদারকিতে সাধারণ মানুষের জনপ্রিয়তা কুঁড়িয়েছেন বেশ। তাছাড়া মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটিতে স্বচ্ছ থেকে চুলছেরা বিশ্লেষণ করে তালিকা জামুকতে প্রেরণ করায় করো মনে কোন দ্বিধা ঠেকেনি। সরকারী নানান প্রোগ্রামে নতুনত্ব ও উপজেলা কমপ্লেক্সের ভিতরে দৃষ্টিনন্দন শিশু পার্ক নির্মানে তাঁর কাজে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।