মুরাদনগরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ঈঁদ পূর্নমিলনী ও আনন্দ র্যালী
আবুল কালাম আজাদ ভূইয়াঃ মুরাদনগরে স্বেচ্ছাসেবকলীগের উদ্যোগে জাক জমক ভাবে ঈদ পূর্নমিলনী ও আনন্দ র্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালায়ে থেকে আনন্দ র্যালিটি বের সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। র্যালি শেষে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক খায়রুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ম. রুহুল আমিন। উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য সেলিম সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হয়ে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী সেচ্ছাসেবকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এডভোকেট রফিকুল আলম চৌধুরী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ তমাল, জেলা পরিষদ সদস্য ভিপি জাকির হোসেন, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগ সদস্য ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম সরকার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি কামাল উদ্দিন চেয়ারম্যান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল খায়ের চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক রুহুল আমিন, উত্তর জেলা সেচ্ছাসেবকলীগ সদস্য মোঃ আজিজুল হক, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক আহবায়ক এস আর পারভেজ রহিম, যুগ্ম আহবায়ক মানিক সরকার, সোহরাব হোসেন বেলাল, মাজাহারুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী শাহ আলম, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শফিকুল ইসলাম তুহিন, সাধারণ সম্পাদক হাফিজ খান, বাঙ্গরা বাজার থানা সভাপতি আবুল কাশেম, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা, বাঙ্গরা বাজার থানা সেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক নিয়াজ মোঃ রিপন, বিশেষ বক্তা বাঙ্গরা বাজার থানা সেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য সচিব দিদার হোসেন খান প্রমুখ। বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী সেচ্ছাসেবকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এডভোকেট রফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, গত ৮ তারিখে মুরাদনগরে পাঁচপুকুড়িয়ায় সেচ্ছাসেবকলীগের একটি অনুষ্ঠান হয়েছে। সেই অনুষ্ঠানে নানান অনিয়ম আমার চোখে পড়েছে। প্রথমত স্থানীয় এমপি’র উপস্থিতি নেই। বুজতে হবে তিনি নৌকার এমপি। এমপি কে ছাড়া সাংগঠনিক কোন কমিটি বা অনুষ্ঠান হওয়া সমিচীন নয়। সেই অনুষ্ঠানে কিছু লোকে সহায়তা দিয়েছে মাত্র। বাকিরা গেছে খালি হাতে। কৃষকদের ধান কাঁটার মিশিন দিয়ে আবার ফিরিয়ে নিয়েছে। মুরাদনগর হাসপাতাল সামগ্রী নিয়েও করেছে তালবাহানা। এধরণের কর্মকান্ডে সাধারণ মানুষের মাঝে যেমন ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে,তেমনি সংগঠানের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। আওয়ামীলীগকে ভালোবাসলে সংগঠনের ভাবমূর্তি নষ্ট করা যাবে না। কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ম. রুহুল আমিন বলেন, জাহাঙ্গীর আলম সরকার মুরাদনগর উপজেলা কমিটি নিয়ে নানান তালবাহানা করাতে আওয়ামীলী ধ্বংস হয়েছে। এখন তার ছেলে আহসানুল আলম সরকার কিশোর কে দিয়ে মুরাদনগর উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগকে ধ্বংস করার পায়তারা করছে। বর্তমানে আহবায়ক খাইরুল ইসলাম ও সদস্য সচিব সেলিম সরকার যে ভাবে সংগঠনের পরিচালনা করছেন সে ভাবেই সংগঠনটি চলবে। তাহলে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হবে। আজকে ঈদ পূর্নমিলনী ও আনন্দ র্যালি প্রমান করে যে মুরাদনগর উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগ তাদের কাছে সুংগঠিত।