নওগাঁ পৌরসভা ও নিয়ামতপুরে ৭ দিনের লকডাউন ঘোষণা
নওগাঁ প্রতিবেদকঃ নওগাঁ পৌরসভা ও নিয়ামতপুর উপজেলায় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ৭ দিনের বিশেষ সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। আজ বৃহস্পতিবার রাত ১২ টা থেকে ৯ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত এই লকডাউন কার্যকর থাকবে। ১৫টি বিধি নিষেধ আরোপ করে একটি গণ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে জেলা প্রশাসন। এ ছাড়াও লকডাইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে। ঈদের পর নওগাঁতে করোনা আক্রান্ত এবং মৃত্যু দুই’ই বেড়েছে। করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি রোধে আজ বুধবার দুপুর ২টার দিকে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক হারুন অর রশিদ এই ঘোষণা দেন। এ সময় পুলিশ সুপার প্রকেীশলী আব্দুল মান্নান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক উত্তম কুমার রায়, সিভিল সার্জন আবু হানিফসহ গণমাধ্যমকর্মীগন উপস্থিত ছিলেন। এ সময় জেলা প্রশাসক জানান, সম্প্রতি নওগাঁর নিয়ামতপুর ও সদর উপজেলায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করা সুপারিশের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (১ জুন) রাতে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির ভিডিও কনফারেন্সে এক জরুরি বৈঠক হয়। গত মঙ্গলবার ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সদর সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জনসহ কমিটির অন্যান্য কর্মকর্তা অংশগ্রহণে করেন। এই ৭দিন এই ২ এলাকায় জরুরী পরিসেবা সরকারি অফিস, কাঁচামাল, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি, ওষধের দোকান ছাড়া সকল প্রকার গণপরিবাহন, শপিং মহল, হোটেল, খাবারের দোকান বন্ধ থাকবে। এ সময় নওগাঁয় কোনো যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না এবং নওগাঁ থেকেও কোনো যানবাহন জেলার বাইরে যাবে না । এছাড়াও এই ২ এলাকায় এনজিও’র সকল প্রকার কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এছাড়াও সাপাহার, পোরশা ও মান্দা উপজেলা, রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও আন্তর্জাতিক সীমান্ত (ভারতীয় সীমান্তেবর্তী) সংলগ্ন সকল হাট বাজার বন্ধ থাকবে। তবে সকাল ৭টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি বেচা কেনা করা যাবে এবং আমের আড়ৎ পৃথক জায়গায় ও ছড়িয়ে বেচা-কেনা করা যাবে। বাগান থেকে আম ট্রাক করে প্রেরণ করা ও কুরিয়ারের মাধ্যমে আম পরিবহন চালু থাকবে। পার্শ্ববতী চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহীতে করোনা পরিস্থিতি আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ২৫ মে থেকে নওগাঁর ৩টি উপজেলা নিয়ামতপুর, পোরশা ও মান্দায় সতর্ক অবস্থায় শর্তকাবস্থা জারীর পর পুলিশী চেক পোস্ট বসানো হয়েছে। এর পাশাপাশি ভারতীয় সীমান্তের ৪ উপজেলা ধামইরহাট, পত্নীতলা, সাপাহার ও পোরশায় বিজিবি’র পক্ষ থেকে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। নওগাঁ সিভিল সার্জন এবিএম আবু হানিফ জানান, ঈদের আগে যেখানে শনাক্তের হার ছিল গড়ে ১৮ ভাগ। বর্তমানে সেটি বৃদ্ধি পেয়ে ২৫ ভাগ শনাক্ত হচ্ছে। তিনি আরো জানান, চলতি জুন মাসের ২ দিনে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে আর শনাক্ত হয়েছে ৮২ জন।#