ইতিহাস কখনো সুন্দর কখনো করুণ

Spread the love

ইতিহাস কখনো সুন্দর কিন্ত কখনো করুণ। ইতিহাস আমাদের বন্ধু চিনতে সাহায্য করে, ইতিহাস আমাদের ভুল শুদ্ধ বিবেচনা করতে সাহায্য করে, যুগে যুগে ছুরিকাঘাত করা ব্যাক্তি বেশীর ভাগ সময়ে নিজের আপন লোক’ই হয়। তেমনি আজ যার কথা বলবো তিনি হচ্ছেন যেমন মহান বন্ধু তেমন’ই নিকৃষ্ট শত্রু। কথিত আছে ” ঘরের শত্রু বিভীষণ”।আহমেদ জালালুদ্দিন পাশা (Ahmed Celaleddin Paşa) ছিলেন উসমানীয় রাজনীতিবিদ, সৈনিক এবং সুলতান আব্দুল হামিদ আস-সানী’র রাজত্বকালে গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা প্রধান। আহমেদ পাশা সুলতানের অন্যতম বিশ্বস্ত একজন ব্যক্তি ছিলেন। সুলতান তাকে বন্ধু হিসেবে বিশ্বাস করতেন। ইস্তাম্বুলে যখন ” ইয়াং তুর্ক ” (তরুণ তুর্কী) আন্দোলন মাথা ছাড়া দিয়ে উঠছিলো, সুলতান তাৎক্ষনিক আহমেদ পাশা’কে দায়িত্ব দেন তা পর্যবেক্ষণ ও প্রতিরোধ করার জন্য, তিনি “ইয়াং তুর্কের” কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও প্রতিরোধ করেছিলেন। সেরহাফিয়ে (the Serhafiye)(চীফ অফ ইন্টেলিজেন্স, তুর্কি) হওয়ায় তিনি ছিলেন সুলতানের গুপ্তচরদের প্রধান। সব দিক থেকে যখন সুলতানের বিরুদ্ধে স্বরযন্ত্র করা হচ্ছিলো তখন কাছের মানুষ গুলোও আস্তে আস্তে বিশ্বাসঘাতকে পরিণত হচ্ছিলো। বাংলার নবাবী সালতানাত ডুবোতে একজন মীরজাফর ছিলো কিন্ত উসমানীয় খেলাফতের বিরুদ্ধে কাজ করছে হাজার খানেক মীরজাফর। আহমেদ পাশা শেষ পর্যন্ত সুলতানের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে৷ এর সঠিক কারণ কোথাও লিপিবদ্ধ থাকলেও আমি পাইনি বলে লিখতে পারিনি। যেই তরুণ তুর্কীদের বিরুদ্ধে আহমেদ পাশা কাজ করছিলো একসময় তাদের কাছে নিজেকে বিক্রি করে দেয়।আহমেদ পাশা সুলতানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েই থামেন নি বরং ইয়ং তুর্কীদের আর্থিকভাবে সাহায্য সমর্থনও করেছিলেন। তিনি সুলতানের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন এমনকি তাকে হত্যার পর্যন্ত চেষ্টা করেছিলেন। সোর্স-https://www.biyografya.com-শেখ মঈনুল আজাদ সংরক্ষিতজুন ২৫-২০২১

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *