কুড়াখাল বায়তুল নূর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে মুসিল্লারা বাদ আছর পড়েছে রবিবার
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কুড়াখাল বায়তুল নূর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে মুসিল্লারা বাদ আছর পড়েছে রবিবার।
জুম্মা নামাজরত আহত মুসুল্লি, স্থানীয় গ্রামবাসী ও মামলা সূত্রে যানাযায়, গত শুক্রবার বাদ জুম্মা নামাজ শুরুর আগেই কুমিল্লা জেলা মুরাদনগর উপজেলা ৭নং বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের কুড়াখাল বায়তুল নূর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম রেজভি সমর্থিত কামারুজ্জামান খুৎবার আজান মসজিদের বারান্দায় দিতে বলে। সুন্নি সমর্থিত মুসিল্লা মিহম্বর সামনে আজান দিতে বলে এতেই দু’পক্ষে মুসল্লিদের মধ্যে রেজভি-সুন্নি দু’গ্রুফ বাগবিতান্ডা শুরু হয়। রেজভি সমর্থিত ব্রাক্ষণবাড়িয়া সরাইল নিবাসী কুড়াখাল বায়তুল নূর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম কামারুজ্জামান, কুড়াখাল গ্রামের আব্দুর সাত্তার ছেলে আবুল কালাম ওরফে ডিজে কালাম, সাবেক পুলিশ মৃতঃ সালাম ভূইয়া ছেলে শাহিন ভূইয়া, মৃতঃ সুলতান সরকার ছেলে কুড়াখাল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ও কুড়াখাল বায়তুলনূর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সভাপতি মালেক সরকার, এলেম খাঁন ছেলে ছেলে আমির খাঁন (চট্টগ্রাম কর্মরত পুলিশ কনস্টবল), আসমত আলী ছেলে আল আমিন, পৌরণ খান ছেলে জহিরুল ইসলাম,আব্দুল আজিজ মৌলভী ছেলে আনিস, আজম খান ছেলে রাজিব, আঃ হালিম ছেলে শাহদাৎ,কুরুন্ডী গ্রামের আব্দুল হক ছেলে মান্নানের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি গ্রুফ জামে মসজিদের মিহম্বর ও কারপেট নিচে দা, ছুড়ি, রড়, গুলতি লুকিয়ে রাখে। রেজভি গ্রুফের মসজিদের ইমাম কামারুজ্জামান মিহম্ব নিচে কারপেট মোড়ানো লুকায়িত ছুড়ি, দা, রড তুলে দেয় তাদের সমর্থিত কর্মীদের হাতে। মসজিদের প্রধান ফটক তালা দেয় মসজিদের সভাপতি মালেক সরকার। মসজিদের বাহিরে একই গ্রুফের কয়েকজন পাহাড়া দেয় কেহ যেন আহতের রক্ষার জন্য এগিয়ে না আসে। এভাবে চলে ৪০ মিনিট চলে সুন্নি সমর্থিত মুসল্লিদের উপর অতকিৎত হামলা করা হয়। নিহত হানিফ খান শরজারত অবস্থায় প্রথমে পিঠে পরে পেটে রামদা দিয়ে শরিলে ঢুকিয়ে দিলে ওই মুসুল্লি হানিফ খান ঘটনাস্থলে মারা যায়। পরে তার মরদেহ টেনে হেছরে নমাজের বাম পাশে প্রথম শারি থেকে বাড়ীতে বের করে রেজভি সমর্থিত খুনিরা বীর দাপটে সেখান থেকে চলে যায়। পরে ৪০ মিনিট পর গ্রামের লোকজন হানিফ খান, আবুল খায়ের, ইমন খান, ইব্রাহীম, বায়েজীদ, হাবিব খানকে উদ্ধার করে মুরাদনগর সরকারী হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত ডাক্তার হানিফ খানকে মৃত ঘোষণা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আবুল খায়ের,ইমন খান, ইব্রাহীম, বায়েজীদ, হাবিব খানকে ঢাকা প্রেরণ করেন। নিহত হানিফ খানের স্ত্রী আফরোজা বেগম বাঙ্গরাবাজার থানায় ১০জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামী শাহিন ভূইয়া গ্রেফতার হলেও বাকী আসামীরা পালাতক রয়েছে। ওইসব অস্র কুড়াখাল বাজারে দেলোযার লেদ কারখানায় তৈরী বলে স্থানীয়রা জানায়। রবিবার বাদ জোহর মসজিদ গেইট তালা অবস্থায় বাহিরে মোয়াজ্জিন আজান দিয়ে মোয়াজ্জিন একা নামাজ পরেন, মসজিদের বাহিরে। পরে কুমিল্লা-৩, মুরাদনগর উপজেলা আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ইউসুফ আব্দুল্লাহ(এফসিএ) ও বাঙ্গরা বাজার থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) কামারুজ্জামান তালুকদার সহযোগিতা নির্দেশনায় রবিবার বিকাল সাড়ে তিনটায় মসজিদের গেইটে তালা খুলে দিলে উপস্থিত মুসুল্লিও এতিম খানা শিক্ষক -ছাত্র, ইউপি’ সদস্য নেছার সরকার ও সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ ভূইয়া মসজিদের ভীতরে প্রবেশ করে রক্তাক্ত মসজিদ ধৌত করে বাদ আছর নামাজ আদায় করেন স্থানীয় মুসুল্লিরা। নামাজ শেষে উপস্থিত মুসুল্লিরা নিহত হানিফ খান রুহের মাগফেরা ও আহত দূত সুস্থ্যতা জন্য কামনা করেন সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন(এফসিএ) ও বাঙ্গরা বাজার থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) কামারুজ্জামান তালুকদার ও সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী আবুল কালাম আজাদ ভূইয়া জন্য সুস্থ্যতা ও দীর্ঘয়ো দোয়া কামনা করেন।
বাঙ্গরা বাজার থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) কামারুজামান তালুকদার জানায়, ১০ জন আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন নিহত হানিফ খানের স্ত্রী আফরোজা বেগম। শাহিন ভূইয়া নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। অচিরেই আসামীদের গ্রেফতার করা হবে। কুড়াখাল গ্রামের একপ্লটোন পুলিশ পাহাড়া রয়েছে।