কামাল্লা ইউপি’র সচিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ

Spread the love

এনএ মুরাদঃ জনগণের দোড়গোড়ায় সেবা এস্লোগানকে সামনে রেখে  মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে সকল ইউনিয়ন পরিষদে একটি করে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার চালু করেছিলেন। এই ডিজিটাল সেন্টার স্থাপনের ফলে নাগরিকগণ সহজে, কম খরচে ও ঝামেলাবিহীন  প্রায় ষাট ধরনের সেবা পাওয়ার কথা থাকলেও মুরাদনগর উপজেলার কামাল্লা ইউনিয়ন পরিষদের জনগণের হয়রানি আর ভোগান্তি এখন চরম শীর্ষে। জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ নাগরিকের অভিযোগ রয়েছে সচিব আব্দুল আজিজ জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, নাগরিক সনদ, ব্যবসায়ীক লাইসেন্স দেওয়া নিয়ে ইউনিয়নের সেবা প্রত্যাশী জনগণরে কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছেন।  এছাড়াও  তিনি তার খেয়াল খুশি মতো কর্মস্থলে আসা যাওয়া করেন।

৯নং কামাল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোঁজ খান বলেন,  সচিব আমার কোন কথাই শুনে না। তার বিরুদ্ধে জনগণের অনেক অভিযোগ।  আমি কিছু বললে সে চুপ করে থাকে।

সরেজমিন গিয়ে কথা হলো কামাল্লা ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার কামাল হোসেন  বলেন,এই ইউনিয়নের মেম্বার হয়ে আমি নীজেই চরম ভূগান্তিতে আছি। সচিব অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেন।  “আমি  জন্মনিবন্ধনের জন্য টাকা দিয়ে এখনো সচিবের পেছন ঘুরতেছি কিন্তু কাজ হচ্ছেনা। 

৪নং ওয়ার্ড মেম্বার গিয়াস উদ্দিন জানান, আমার একটা নিবন্ধনের কাজ  সাত মাস ঘুরে করে আনছি। সচিব ঠিকমতো কাজ করেনা। ওরে দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের কাজ চলবে না। জনগণ মাঝে মধ্যে তাকে গালমন্দ করতেও শুনেছি।

কামাল্লা ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য অবিদ হোসেন বলেন, এর মতো এতো খারাপ লোক হয় না। সে আমদের কোন মূল্যায়ন করেনা। জন্ম নিবন্ধনে অর্থ বানিজ্যসহ সব রকম হয়রনির শীকার হচ্ছি এই সচিবের কাছে।

কলেজ পড়ুয়া সোহেল আহমেদ বলেন,সচিবকে আসলে পাওয়া যায় না। নিবন্ধনটি আমার খুব প্রয়োজন। অতিরিক্ত টাকা দিয়ে রেখেছি তবুও  সচিবের কাজের অবহেলার কারণে নিবন্ধটি পাচ্ছি না।

ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে আসা কিছু সাধারণ মানুষের ভিডিও রেকর্ড রয়েছে এই প্রতিবেদকের হাতে যেখানে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে  বলছেন দুই’শ, তিন’শ, পাঁচশ,  এক হাজার টাকা দিয়ে নিবন্ধনের জন্য ঘুরছেন। কেউ ৫ মাস পরে পেয়েছেন কেউবা পাননি।

ট্রেডলাইসেন্স নিতে আসা এক ভুক্তভোগী জানান, একটা লাইসেন্সের জন্য ৫শ টাক করে নেয়।  টাকা দিয়েও সঠিক সময়ে লাইসেন্স পাইনা। সচিব  সীল না দিয়েই চেয়ারম্যানের কাছে পাঠায় আর চেয়ারম্যান কয় সীল ছাড়া আমি সাইন দিব কেন?

সত্তোর বছর বয়স্ক এক মুরব্বি জানান, চার মাস পাঁচ মাস ঘুরতে ঘুরতে অধৈর্য হয়ে  মেয়ে লোকে সচিবের কালার পর্যন্ত ধরে তবুও ভোগান্তি কমেনা।

-এ বিষয়ে কামাল্লা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আবদুল আজিজ  জানান, অতিরিক্ত অর্থ আদায় আমি করি না।

 করেন উদ্যেক্তা। সে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে আবেদন ফরমের সাথে স্টেপলার করে রাখে।

মুরাদনগর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার সুমাইয়া মমিন  বলেন, জন্মনিবন্ধনে অতিরিক্ত অর্থ নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। সরকার নির্ধারিত পাঁচ বছরের কম ২৫টাকা এবং পাঁচ বছরের বেশী ৫০ টাকা নির্ধারিত। তবে এ বিষয়টি নিয়ে কোনো সেবা প্রত্যাশী যদি আমার কাছে অভিযোগ করে এবং সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *