মুরাদনগরে বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
আবুল কালাম আজাদ ভূইয়াঃ মুরাদনগরে বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার মুরাদনগর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কবি নজরুল মিলনায়তনে দিবসটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) অভিশেক দাসের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা প্রাণী সম্পদক কর্মকর্তা ডাঃ কামরুল হাসান খাঁন, মুরাদনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সোমাইয়া মুমিন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নাজমূল আলম, মুরাদনগর থানা ভারপাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাশিম, সাবেক উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমেন্ডার হারুন অর রশিদ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ মইন আহমেদ, আল কোরআন পাঠ করেন, আমজাদ হোসেন, গীতা পাঠ করেন, সূচিত্র দাস, অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন, সহকারি পল্লী উন্নায়ন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা। সকাল ১০টায় মুরাদনগর উপজেলা প্রাঙ্গনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন উপজেলা প্রশাসন, মুরাদনগর থানা ও বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ। শহীদ বৃদ্ধিজীবীসহ সব শহীদবীর মৃক্তিযোদ্ধার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তাঁদের আত্মার মাগফিরাত ওশান্তি কামনা করেন। আলোচকরা বলেন, ১৯৭১ সালে জাতীর চিরগৌরবের মহান মুক্তিযোদ্ধের বিজয়ের প্রাক্কালে এই দিনে (১৪ ডিশেম্বর) দেশের শ্রেষ্ট সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যার পৈশাচিকতায় মেতে উঠেছিল পাকিস্থানি হানাদার বর্বর সেনাবাহিনী। এ হত্যাযজ্ঞে সরাসরি সহায়তা করেছিল তাদের পদলেহী এদেশের কিছু কুলাঙ্গার। রাজাকার, আলবদর, আলশামস নামে যারা ঘৃণিত, ধিক্কৃত। দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান শিক্ষাবিদ, গবেষক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, সংস্কৃতিসেবী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইজীবীসহ সমাজে সৃজনশীলতায় অগ্রণী মানুষদের বাড়ী থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে মোহাম্মদপুর ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট স্থাপিত আল বদর ঘাঁটিতে নির্যাতনের পর রায়েরবাজার বধ্যভূমি ও মিরপুর কবরস্থানে নিয়ে হত্যা করে।