শ্রীকাইল ইউনিয়নের নির্বাচন বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত
এম কে আই জাবেদ: আগামী ৩১শে জানুয়ারি মুরাদনগর উপজেলার ২১টি ইউনিয়নে একযোগে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বাংগরা বাজার থানাধীন ১নং শ্রীকাইল ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন উপলক্ষে বুধবার চন্দনাইল মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুমিল্লা সদর সার্কেল) মোঃ সোহান সরকার, পিপিএম (সেবা) এর সভাপতিত্বে ও বাঙ্গরা বাজার থানার এস আই জাহাঙ্গীর আলম এর পরিচালনায় বিট পুলিশিং সভায় আসন্ন ১ নং শ্রীকাইল ইউনিয়ন ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার প্রতিদ্বন্দ্বী ১২ জন চেয়ারম্যান, ৪০ জন মেম্বার ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ১০ জন মহিলা মেম্বার পদপ্রার্থীগণ মতবিনিময়ে অংশ নেন। বিট পুলিশিং মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহান সরকার (পিপিএম) তার বক্তব্যে আসন্ন শ্রীকাইল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সকলের সার্বিক সহযোগিতার মাধ্যমে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আশ্বাস প্রদান করেন। সকলের মাঝে আইন শৃঙ্খলা বজায় রেখে ও নির্বাচন আচরণবিধি মেনে চলতে আহ্ববান করেন। কোন প্রকার উশৃংখল আচরণ সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করলে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে দমন করবে বলেও জানান। ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় আসন্ন নির্বাচনে যাতে কোন দুর্ঘটনা না ঘটে, সংঘাতে না জড়ায় ও পারস্পরিক সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন সেই বিষয়ে গুরুত্ব প্রদানে সক সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। নির্বাচন উপলক্ষে অবৈধ অস্ত্র ও বহিরাগত সন্ত্রাসীদের অবস্থান জানতে পারলে পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহায়তা জন্য বলা হয়েছে। এছাড়াও চুরি, ডাকাতি বন্ধকল্পে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, প্রত্যেকের বাড়ির বাহিরে রাতের বেলায় বৈদ্যুতিক লাইট লাগানো, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ, মাদক প্রতিরোধে জনসচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা কর, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব না ছড়ানো ও কোন প্রকার উস্কানিমূলক স্ট্যাটাস বা কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে । বিশেষ করে আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ও জনগণকে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ করতে অনুরোধ করা হয়েছে । উক্ত বিট পুলিশিং সভায় শ্রীকাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত মোঃ ইকবাল বাহার, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে মোঃ নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ বশীর, মোঃ আবু কাউছার, মেহেদি হাসান অপু সহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষক, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা, মসজিদের ইমাম ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার স্থানীয় প্রায় ১৫০০ জন লোক অংশগ্রহণ করেন।