করোনা ভাইরাস চললেও চাঁদপুরেরর রেল স্টেশন গুলোতে নেই যাত্রি সুরক্ষা ট্রানেল ও ব্যাচিং ব্যবস্থা
মোহাম্মদ বিপ্লব সরকার । সারাবিশ্বে কোভিট ১৯ করোনা ভাইরাস এর প্রভাব সরকার সকল স্হান লকডাউন করে।এ লকডাউনের আওয়তায় বাংলাদেশ রেলওয়ে। চাঁদপুর -কুমিল্লা, চাঁদপুর – চট্টগ্রাম ও চাঁদপুর -লাকসাম রেলপথে সারকারি ভাবে ২ টি ও প্রাইভেট ১ টি মোট ৩ টি ট্রেন করোনার পূর্বে নিয়মিত ভাবে চলাচল করতো।করোনা শুরু থেকে এ ট্রেন গুলো বন্ধ রাখা হয়।লকডাউন শিথিল হলে সরকার বিভিন্ন রুটে কিছু কিছু ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্ত নেন।সেই সিদ্ধান্ত মতে চাঁদপুরে আন্তঃনগর মেঘনা ট্রেন চলাচল শুরু করে। এ মহামারি করোনা থেকে রক্ষায় সরকারের পাশাপাশি যে যার যার মতো সুরক্ষা ব্যবস্থা করছে। প্রায় তিনমাস বন্ধ থাকার পর মাস খানেক ধরে আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু হয়। কিন্তু মহামারি করোনা মোকাবেলায় রেলওয়ে চট্টগ্রাম বিভাগ চাঁদপুরের জন্য কিছু সুরক্ষা সামগ্রী দিলেও তা ছিলো খুবই সীমিত। যা করোনা ভাইরাস শুরু হওয়ার কিছু দিনের মধ্যে শেষ হয়ে যায়। সুরক্ষা সামগ্রী না থাকায় বর্তমানে চাঁদপুর রেল স্টেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ঝুকির মধ্যে রয়েছে। চাঁদপুর বড় স্টেশন ভারপ্রপ্ত মাস্টার সোয়াইবুল শিকদার জানিয়েছেন, রেলওয়ের ১৭ টি বিভাগ রয়েছে। করোনার শুরু থেকে এ ১৭টি বিভাগের কর্মকর্তা,কর্মচারির মধ্যে বিতরন করা হয়েছে।করোনা ভাইরাসের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কিছু পিপিই,৩ ধাপে ১২০টি মাক্স, ৫০টি হ্যাণ্ড ওয়াশ, আমাদের ট্রাফিক বিভাগকে দেয়া হয়েছে।তাছাড়া, রেলওয়েকে জীবানু মুক্ত রাখতে বিচিং পাউডার, ফিনাইল , হ্যান্ড গ্লাভস, তাপমাত্রা পরিমাপ মাপার যন্ত্র দিয়ে মেঘনা ট্রেনের যাত্রিদের তাপমাত্রা পরিমাপ করে ট্রেনে উঠানো হয়।উচ্চ শ্রেণীর বিশ্রামাগার এবং মাধ্যমিক শ্রেণীর বিশ্রামাগারে যাত্রিদের হাত ধোঁয়ার ব্যবস্থা রয়েছ।কিন্তু চাঁদপুর থেকে লাকসাম পর্যন্ত রেলওয়ে স্টেশন গুলোতে যাত্রীদের সুরক্ষায় নেই কোনো ট্রানেল।বড় স্টেশন ও কোট স্টেশনে যদি একটি করে ট্রানেল স্থাপন করা হয় তাহলে যাত্রিরা সুরক্ষা পাবে।এর পাশাপাশি যদি প্লাটফর্মে ৫/৭টি ব্যাচিং স্থাপন করা হয় তাহলে যাত্রিরা এখানে সাবান দিয়ে হাত ধূয়ে জীবানু মুক্ত হয়ে ট্রেনে উঠতে পারবে।তাই দ্রুত চাঁদপুরের রেলওয়ে স্টেশন গুলোতে এ ট্র্যানেল ও ব্যাচিং ব্যবস্থা চালু করা প্রয়োজন হয়ে পরেছে রেলওয়ের।