হোমনায় নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিল অসহায় গৃহবধূ সুমি
হালিম সৈকত, কুমিল্লা প্রতিবেদকঃ দুই সন্তানের জননী সুমি আত্মহত্যা করেছে। এলাকাবাসীর সুত্রে জানাযায়, শুক্রবার বিকালে ঘটনাটি ঘটে কুমিল্লার হোমনা উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের মির্জানগর গ্রামে তাজুল ইসলামের স্ত্রী সুমি (৩০)কে কেড়ির বড়ি খেয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন বলে জানান নিহতের স্বজনরা।গৃহবধূ সুমি (৩০)। বিয়ে হয় মৃত মনু মিয়ার ছেলে তাজুল ইসলামের সাথে। তাদের ঘরে সন্তান মেয়ে স্বপ্না (১৩) ও ছেলে সাঈদ (১০)। সুমির স্বজনদের অভিযোগ করেন, প্রতিবেশী চাচী শ্বাশুড়ী, সেই পরিবারের ননদগণ ও দেবরগণ প্রায় সময় জায়গায় চলাচল নিয়ে মারধর ও নির্যাতন করতো। এমন কি ঘর থেকে যেনো বের হতে না পারে, সে জন্য দরজার সামনে ও চলার রাস্তায় কাটা-বেড়া দিয়ে রাখতো। এমন মানসিক, সামাজিক ও শারিরিক নির্যাতনের বিচারও চেয়েছিলো স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মো. মোসলেম ও মুক্তিযোদ্ধা মনিরুল ইসলামের কাছে। প্রতিবেশী কইট্টা মিয়ার পরিবারের দাপটের কাছে কোন রকম বিচার করতে পারেনী স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ। বিচার দাবির বিষয়টি স্বীকারও করেন তারা। বিচারে বসার জন্য সময় দিয়েছিলেন কিন্তু নানা কারণে করতে পারেন নি। সবশেষ এমন যন্ত্রনা সইতে না পেরে কেড়ির বড়ি খেয়ে নিজেই চির মুক্তি পথ বেছে নিলেন দুই সন্তানের জননী দরিদ্র পরিবারের সুমি আক্তার। শনিবার সকালে নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে ময়না তদন্তের জন্য। পুলিশ সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।এদিকে কইট্টা মিয়ার পরিবার ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার কৌশল হিসেবে রাতেই নিজেদের ঘর-বাড়ি ভাংচুর করে টাকার দেমাগে উল্টো মামলা দেয়ার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা হলে তারা জানান, যেই পরিবার নিজের গায়ের জব দিতে জানেনা। যারা ক্ষমতা ও টাকার জোর নাই বলে অত্যাচারের বিচার পায়না। সেই পরিবারের মানুষ কিভাবে তাদের ঘর ভাংচুর করবে। এটা জনগণ বিবেক করে দেখুক। আমরা কিছুই বলবো না। তবে কইট্টা মিয়ার স্ত্রী জানান, রাতে একদল লোক এসে আমাদের উপর অর্তকিত হামলা করে এবং ভাংচুর চালায়। আমি সুমি হত্যার বিষয়ে কিছুই জানি না। মাসখানেক আগে তার সাথে আমাদের ঝগড়া হয়েছিল কিন্তু কি কারণে কেড়ির বড়ি খেয়েছে তা আমি জানি না।নিহতের ছোট ভাই আল আমিন সরকার বাদী হয়ে ৩/৪ অজ্ঞাত ও ৫ জনকে আসামী করে হোমনা থানায় একটি এজহার দাখিল করেছেন। এই বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা হোমনা থানার এসআই সাইফুল ইসলাম বলেন, ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বলা যাবে সঠিক কি হয়েছিল। তবে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে তাদের উপর অত্যাচার হতো। মেয়েটি বেশ সহজ সরল ছিল বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসি।