তিতাসে ট্রলার ভাড়াকে কেন্দ্র করে যুবকদের মধ্যে সংঘর্ষঃ আহত ৫

Spread the love

হালিম সৈকত, কুমিল্লা প্রতিবেদকঃ তিতাস উপজেলার মাছিমপুর গ্রামে  ঈদ উপলক্ষে ট্রলার ভাড়া নিয়ে মজা করতে গিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ১ আগস্ট রাত ১০ টায় মাছিমপুর দক্ষিণপূর্ব পাড়ার মূতির বাড়িতে এই সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। পরে কলাকান্দি ইউনিয়ন আ’লীগের সাবেক সভাপতি সিরাজুল ইসলামের বাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটে।সরেজমিনে ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়,  পূর্বপাড়ার কামরুলের ছেলে কাইয়ূম ও তার বন্ধুরা মিলে ঈদে আনন্দ করার জন্য স্পিকার ও ট্রলার ভাড়া করে বিলে ঘুরতে থাকে। পরে রাতে ট্রলার ভাড়া করতে চায় উত্তর পাড়ার জাফরের নাতি ইমন ও দেলোয়ারের ছেলে হৃদয়। তারা জোর করে ট্রলারে ওঠে এবং ট্রলার মালিকের কাছ থেকে ট্রলার ভাড়া নিতে চায়। কিন্তু কাইয়ূমরা বাঁধা দেয় এবং বলে এখন আমরা ভাড়া নিয়েছি, আমরা ভাড়া ছেড়ে দিলে তোমরা ভাড়া নিও। এখন গেঞ্জাম করো না চলে যাও। এই নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।পরে উত্তরপাড়ার বাবুলের ছেলে ফয়সাল (২৫), ইমন (২৫), দেলোয়ারের ছেলে হৃদয় (২৩), শাহিন মোল্লার ছেলে আলামিন (২৬),শহিদের ছেলে শামীম(২৭), শাহআলমের ছেলে নাসিম (২৪), জাফর আলীর ছেলে দিদার  (৩৫), সেন্টু (৩২) সহ ৩০ -৪০ জন লোক মুতি মিয়ার বাড়িতে হামলা করে। এতে মারাত্মক আহত হয় মৃত সুরুজ মিয়ার ছেলে মূতি মিয়া (৮০), মূতি মিয়ার ছেলে আঃ আজিজ। তাদের মাথা ফেঁটে যায়। তারা তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন।সিরাজুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ চিৎকার চেচামেচি শুনে বাইরে এসে দেখি গন্ডগোল। ৩০/৪০ জন পোলাপান লাঠিসোটা নিয়ে ঘর দরজায় আঘাত করছে।মূতিসহ তার ছেলেদের উপর আক্রমণ করছে।  আমি এবং আমার বড় ভাই সালাম মাষ্টার ছাড়াতে গেলে তারা আমার উপরও আক্রমণ করে। আমার পকেটে থাকা ৩০ হাজার টাকা এবং কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়।অন্য পাড়া থেকে এসে তারা আমাদের  পাড়ায় এসে তান্ডবলীলা চালিয়েছে। অপরদিকে আহত হয়েছেন মোবারক হোসেন মোল্লার ছেলে আরাফাত (১৪), আমিরের ছেলে জিলানী (১৮)।  জিলানীর দাঁত ভেঙ্গে যায় বলে জানান আহতদের পরিবার। এই বিষয়ে, মোবারক হোসেন মোল্লা বলেন, আমার ছেলে তার নানীর বাড়ি থেকে বাসায় ফিরতেছিল।মারামারির শব্দ শুনে সে পুকুরপাড়ে দাঁড়িয়েছিল।  হঠাৎ ৩/৪ লোক এসে আমার ছেলের উপর আক্রমণ করে।  বর্তমানে সে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তার অবস্থা আশংকাজনক। প্রচন্ড আঘাত পেয়েছে সে।তিতাস থানার এসআই ইউসুফ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উভয়পক্ষকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেন। তবে উভয়পক্ষের ২ জন করে মোট ৪ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। তবে মামলার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলে উভয়পক্ষ থেকে জানা গেছে। প্রতি বছর কোরবানির ঈদ এলে এমন একটি ঘটনা ঘটেই থাকে বলে জানান সূধী মহল।          

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *