চাঁদপুর শহরের বিনোদন কেন্দ্র গুলোতে পর্যটকদের ভীড় স্বাস্হ্যবিধী মানার নেই কোনো বালাই

Spread the love

মোহাম্মদ বিপ্লব সরকার : পবিত্র ঈদুল আযহায় চাঁদপুর শহরের বিনোদন কেন্দ্র গুলোতে দর্শনার্থীদের উপচে পরা ভীড়। বৈশ্বিক করোনা মহামারিতে স্বাস্হ্যবিধী মানার নেই কোনো বালাই।যে যার মতো ঈদের আনন্দে মেতে উঠেছে।অধিকাংশদের মুখে নেই স্বাস্হ্য সূরক্ষার মাক্স।রবিবার ও সোমবার শহরের বড় স্টেশন মোল হেডে গিয়ে দেখা যায়, হাজারো মানুষের ঢল। তার মধ্যে শতকরা ৯০ ভাগ মানুষের মুখে মাক্স নেই। তারা পরিবার পরিজন শিশুদের কে ও নিয়ে ঘুরতে এসেছে স্বাস্হ্য সুরক্ষা ছাড়াই। চাঁদপুর মডেল থানার অফিস্র ইনচার্জ মোঃ নাসিম উদ্দিন, পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত হারুনুর রশীদ সহ পুলিশ সদস্যরা, কাউন্সিলর ফরিদা ইলিয়াস ও জেলা প্রশাসনের গঠিত স্বেচ্ছাসেবক টিম বড় স্টেশন মোলহেডে জনসমাগম সামাল দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। জেলা প্রশাসন থেকে বড় স্টেশন মোলহেড এলাকাকে লকডাউন ঘোষণা দিলেও লকডাউনের কোনো তোয়াক্কা না করেই জন সাধারন প্রবেশ করছে। কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে আসা খোরশেদ আলম বলেন, আমরা চাঁদপুরের ত্রী নদীর কথা শুনেছি। তাই এবছর ঈদুল আযহায় বন্ধু বান্ধব দের নিয়ে ঘুরতে এসেছি। স্হানটি খুব সুন্দর লেগেছে।চট্টগ্রামের মিরসরাইল থেকে মাইক্রোবাস নিয়ে এসেছিলেন মিরাজ হোসেন, তিনি বলেন চাঁদপুর ইলিশের রাজধানী, তাছাড়া বিশাল জল রাশির কথা জেনেছি। এ বছর নিকট আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে স্হানটি দেখতে এলাম।প্রকৃতির মিলন মেলা দেখে আমরা আনন্দিত হলাম।যদি সরকার এ স্হানটির প্রতি দৃস্টি দেয় তাহলে আরো সুন্দর করা যেতে পারতো।নোয়াখালির চাটখিল থেকে ব্যাংক কর্মকর্দা সেলিনা আজাদ পুরো পরিবার নিয়ে রবিবার দুপুরে বড় স্টেশনে ঘুরতে আসেন। মাছ ঘাট থেকে চাঁদপুরের প্রসিদ্ধ ইলিশ কিনেছেন। তারপর দিন ব্যাপী মোলহেডে ঘুরেন। তিনি বলেন নৌকায় নদীতে ঘুরে আনন্দ পেয়েছি। তবে একটা বিষয়ে হতবাক হয়েছি এখানে অনেকেই স্বাস্হ্যবিধী না মেনে প্রবেশ করছে।এতে করে করোনা পরিস্হিতী আরো ভয়াবহ হতে পারে। চাঁদপুর জেলা সদরের অন্যান্য বিনোদন কেন্দ্র গুলো বন্ধ থাকায় গাছ তলা ব্রিজ,গাজীপুরের হাওয়র বিল,নতুন বাজার -পুরান বাজার ব্রিজে দর্শনার্থীদের ভীড় ছিল লক্ষণীয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *