চাঁদপুরে বিপদসীমার ৭৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে
মোহাম্মদ বিপ্লব সরকার : পূর্ণিমার প্রভাব কেটে গেলেও দক্ষিণা বাতাসে পদ্মা-মেঘনার পানি ফুলে-ফেঁপে উঠেছে। এ কারণে চাঁদপুরে মেঘনার পানি বিপদসীমার ৭৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে শহর রক্ষা বাঁধ। বুধবার (৫ আগস্ট) বিকেলে জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ায় শহরের প্রায় প্রত্যেকটি সড়কে পানিতে। মেঘনার পানির প্রভাবে চাঁদপুর সদর উপজেলার আলুর বাজার, হাইমচর উপজেলার ঈশানবালা এবং শহর রক্ষা বাঁধের মোলহেড সংলগ্ন পাইলট হাউস এলাকায় ভাঙন মোকাবেলায় বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। এছাড়া শহরের পুরাণবাজারের কলেজ রোড, হরিসভা, রওনাগোয়াল, দুধপট্টিসহ বিভিন্ন এলাকা এবং নতুন বাজার এলকার লঞ্চঘাট, মাদ্রাসা রোড, ক্লাব রোড, যমুনা রোড, কোড়ালিয়া নদীর পাড়, কালীবাড়ি, চৌধুরী ঘাট, মুখার্জীঘাট, জেএম সেনগুপ্ত রোড, নতুন আলিমপাড়া, হাজী মহসিন রোড, মুক্তিযোদ্ধা সড়ক, মহিলা কলেজ রোড, ট্রাক রোড, রহমতপুর কলোনী, গাজী সড়ক, পালপাড়া, ছৈয়ালবাড়ি রোড, বঙ্গবন্ধু সড়ক, বকাউল বাড়ি রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় হাটুসমান পানি উঠতে দেখা যায়। পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী বাবুল আখতার জানান, পূর্ণিমার প্রভাব দু’দিন আগে কেটে গেল এখন দক্ষিণা বাতাস বইছে। ফলে নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। চাঁদপুর মেঘনায় বিপদসীমার ৭৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। মোকাবেলায় সার্বিক প্রস্তুতি নেয়া আছে। তিনি আরো জানান, চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ দীর্ঘদিন সংস্কার না করায়, বর্ষা মৌসুম এলেই প্রচন্ড পানির চাপে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে। বিকেলে জোয়ারের পানিতে শহর ও আশপাশের এলাকা নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে পানি প্রবেশ করে।