মতলব পৌরসভার কয়েকটি রাস্তায় আতঙ্ক তৈরি করে দাপুটে চলছে কয়েকজন কিশোর
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ একটি ঘটনার রেষ না কাটতেই ঘটান আরেকটি ঘটনা”” তাদের চলাচলের রাস্তায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে দাপুটে চলচে কয়েকজন কিশোর। আর জনমনে থাকে সবসময়ই আতংক। এমনি অভিযোগ পাওয়া গেছে মতলব পৌরসভার দশপাড়া এলাকার আলমগীরের ছেলে নাঈম ও উত্তর নলুয়া এলাকার ইসমাইলের ছেলে সাব্বিরসহ তাদের সাথে চলাচল করা কয়েজন কিশোরের বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে তাদের কাছে হেনস্তা হওয়ার ভয়ে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাদিক ভুক্তভোগী বলেন, মতলব পৌরসভার দশপাড়া এলাকার আলমগীরের ছেলে নাঈম ও নলুয়া এলাকার ইসমালের ছেলে সাব্বির ও তাদের সাথে চলাফেরায় করা কয়েকজন কিশোর প্রতিনিয়তই দাঙ্গ- হাঙ্গামায় ব্যস্ত থাকে। তাদের আধিপত্ত বিস্তারের জন্য রুপসীপল্লী- বোয়ালিয়া ও আশ্রম ওয়াবদা রাস্তা বেচে নিয়েছে। তারা একটি ঘটনা ঘটিয়ে কিছুদিন গা ডাকা দিয়ে থাকে। পরিস্থতির পরিবর্তন ঘটতে দেখলে পুনরায় এলাকায় এসে শুরু করে নতুন করে দাঙ্গা -হাঙ্গামা। এমনি বেশ কয়েকবার তারা কয়েকজনকে আহত করেছে বলে যানায় এলাকাবসী। তাদের গত কয়েক মাসের মধ্যে, ঘটানো কয়েকটি ঘটনা সংক্ষেপে যা পাওযা যায, আলগীরের ছেলে নাঈম তার সহযোগীদের নিয়ে মাদক খরিদ করতে গেলে নবকলস মিজি বাড়ির বোরহানের ছেলে শামীম তাদের বকাজকা করে। পরে শামীমকে না পেয়ে তার ছোট ভাই সাব্বিরকে বাড়ি থেকে তুলে এনে মারধর করে মারাত্মক জখমি করে। ঐ ঘটনায় থানা পুলিশ হলেও পরে তা মীমাংসা হয়ে যায়। ঐ ঘটনায়র রেষ না কাটতেই মতলব পৌরসভার দিঘলদী এলাকার বাচ্চু ঢালীর ছেলে নাজমুল তার বোনের বাড়ি যাওয়ার পথে আশ্রমের পূর্বদিকে আসলেই ইসমাইলের ছেলে সাব্বির ও আলমগীরের ছেলে নাঈম পথরোধ করে এবং বেদম মারধর করে। বলে যে তুই আমাদের দিকে এমন করে চাইলি কেন। তাদের মারধরে নাজমুলের মাথায় এমন আঘাতের সৃষ্টি হয় তাকে মতলব সদর হাসপাতালে নিলে সিটিস্কিন ছাড়া তার চিকিৎসা সম্ভব না বলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চাঁদপুরে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে প্রায় এক সপ্তাহ চিকিৎসা শেষে বাড়িতে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ঘটনার পর তারা গাডাকা দিলেও এলাকার গন্যমান্যরা দেন দরবারের আলোচনা করাবস্থায়ই এলাকায় উপস্থিত হয়ে আবারো দাপুটে চলাচল শুরু করছে। এরিই মধ্যে নাঈম ও তার সহযোগীদের নিয়ে গত ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধার পর দশপাড় এলাকার হাসেম ফরাজির ছেলে মঈনকে তুচ্ছ ঘটনায় একদফা মারধর করেও ক্ষান্ত না হয়ে গরু জবাই করা ছোড়া দিয়ে আরেকদফা আক্রমণ করার চেষ্টা করে খান কপি হাউসের সামনে। ডাকচিৎকারে লোক জড়ো হলে তারা সেখান থেকে সরে যাওয়া কোন অপৃতিকর ঘটনা ঘটেনি। মঈনের বাবা হাসেম ফরাজি ও তার স্ত্রী বলেন, নাঈম ও তার সহযোগীরা মিলে আমার ছেলেকে একদফা মারদর করে ক্ষান্ত হয়নি সে তার বাড়ি থেকে ছোড়া এনেও কোপাতে চেয়েছে। তার ফুপাতো ভাই তাকে না আটকালে হযতো আবারো আমার ছেলেকে ছোড়া দিয়ে আঘাত করতো। আমরা বিচার চাইতে সাহস পাইনা। বিচার চাইলে আবারো ক্ষিপ্ত হবে আমাদের উপর। এদিকে এলাকার সাধারণ জনগন ও তাদের পাড়া-প্রতিবেশিরা বলেন, ওরা দাঙ্গা -হাঙ্গামা করলে ওদের বাবা মা খুশি হয়। বলে ছাত্রলীগের এক নেতা তাদের বড় ভাই, সমস্যা হলে সে সারিয়ে আনবে, আমাদের কোন অসুবিধা নাই।