চাঁদপুর শহরের দোলা ফার্মেসীর চুরির ঘটনায় আন্তঃ জেলা চোর চক্রের চার সদস্য আটক
মোহাম্মদ বিপ্লব সরকার : চাঁদপুর শহরের কালীবাড়ি চার রাস্তা মোড় এলাকর দুদু মিয়ার মালিকানাধীন দোলা ফার্মেসীতে দুধর্ষ চুরির ঘটনায় দায়ের কৃত মামলায় চাঁদপুর নতুন বাজার ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোঃ বাহার মিয়া ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোল হোতা সহ চার জনকে আটক করেছে।চুরি হওয়ার এক মাস সাত দিনের মাথায় নতুন বাজার ফাঁড়ি পুলিশ এ সফল অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা চোর চক্রের সদস্যদের আটক করতে সক্ষম হয়েছে। আটককৃতরা হলো, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানার নান্দাইল গ্রামের নুরুল ইসলাম (২৭),ঢাকা আশুলিয়ার গোয়ারহাট মোল্লাবাড়ির সাইদুল বাশার (৪২), খিলগাও উত্তর গোরানের মোঃ রুবেল (৩০) ও মাদারিপুর কালকিনি থানার পশ্চিম মাইজাপাড়ার মোঃ শামিম মাতব্বর (৩২) কে আটক করা হয়। শুক্রবার দিন ভর ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় স্ব স্ব থানা পুলিশের সহায়তায় তাদের আটক করা হয়। নতুন বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ বাহার মুয়া জানান,চাঁদপুর পুলিশ বিভাগের উদ্ধতন কর্মকর্তাদের দিক নির্দেশনায় আমি সঙ্গীয় সদস্যদের নিয়ে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে চোর চক্রের গতি বিধি অনুসন্ধান করে অভিযান পরিচালনা করা হয়।তিনি আরো জানান, গত ১০আগস্ট শহরের কালীবাড়ি মোড়ে রাত আড়াইটায় দুদু মিয়ার মালিকানাধীন দোলা ফার্মেসীতে টিনের চালা কেটে এরা ১৮ লাখ টাকার মূল্যবান ঔষধ চুরি করে নিয়ে যায়।পরদিন ১১আগস্ট দুদু মিয়া চাঁদপুর মডেল থানায় অঙ্ঞাত ব্যাক্তিদের আসামী করে ৪৬১/৩৮০ ধারায় পেনাল কোট মামলা করে। চাঁদপুর মডেল থানা মামলা নং ১৭।আটক চোরচক্র দোলা ফার্মেসীর উত্তর পাশের আবাসিক হোটেল শরিয়তপুরে অবস্হান করে চুরি সংঘটিত করে।শরিয়তপুর হোটেলে তারা যে মোবাইল নাম্বার লিপিবদ্ধ করে ছিল তার মব কটি নাম্বার মিথ্যা ছিল।একটি নম্বার সঠিক থাকায় তা টেকিং করে চোরদের সনাক্ত করা হয়।শুক্রবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঢাকার কমলাপুর, খিলগাওয়, আশুলিয়ায় অভিযান চালিয়ে এদের আটক করা হয়। দোলা ফার্মসীর ভিতর থেকে ঔষধ চুরিকের জয়পুরহাটের নুরুল ইসলাম। তাকে ও শামিম মাতব্বর কে কমলাপুর, সাইদুল বাশার কে আশুলিয়া ও রুবেল কে খিলগাও থেকে আটক করা হয়। তিনি আরো জানান, এরা ঔষধ গুলো ঢাকার সদর ঘাট এলাকায় গিয়ে জয়ন্ত ও মামুন নামের দু জনের মাধ্যমে কেরানীগঞ্জের মিডফোডে ১লাখ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়।সে টাকা নিজেরা ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়ে যায়।তা থেকেকেউ মসজিদে দান করে,কেউ বিয়ে করে আবার কেউ স্ত্রীর সিজারে গর্ভপাত ঘটায় বলে পুলিশের প্রথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়।