মুরাদনগরে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ যাত্রাপুর তানজিমুল মিল্লাত দাখিল মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রী ধর্ষণ করেছে বিয়ের ঘটক বাহাউদ্দিন বাহর।
গ্রামবাসী ও মামলার সূত্রে যানযায়, কুমিল্লা জেলা মুরাদনগর উপজেলা ৯নং কামেল্লা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের আলগী গ্রামে জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে যাত্রাপুর তানজিমুল মিল্লাত দাখিল মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রী(১২)কে একই গ্রামের মৃতঃ ওয়ারেছ মিয়া ছেলে বাহাউদ্দিন বাহর (৫৮) গত সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাহার উদ্দিন গরুর ঘরের চৌকির উপর দরজা বন্ধ করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে ধর্ষিতার মা মোসাঃ শাহিদা আক্তার ৯৯৯ নম্বারে ফোন করে এতথ্যটি জানালে মুরাদনগর থানা পুলিশ ওই মেয়েকে উদ্ধার করে। মুরাদনগর থানা মামলা হয়েছে।কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে ওই ছাত্রী চিকিৎসা ও ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়। এরপর আদালতের জবানবন্দি শেষে মঙ্গলবার রাতে তাকে তার মায়ের হেফাজতে দেওয়া হয়েছে বলে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা মুরাদনগর থানা সাব-ইন্সেপেক্টর(নিরস্ত্র) মোঃ আব্দুস সুলতান জানান।
ধর্ষিতা মা মোসাঃ শাহিদা আক্তার জানান, মামলার আসামী বাহাউদ্দিন বাহর ভাই ভাসতা ওয়াছেক মিয়া ছেলে আবুল কাশেম ও আলফু মিয়ার ছেলে আলাউদ্দিন মিয়া মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছেন।
আলগী গ্রামের ইউপি’র সদস্য ইব্রাহীম মিয়া জানান, বাহাউদ্দিন বাহর মিয়া গত সোমবার (২৮শে সেপ্টেম্বর)দুপুরে মাদ্রাসার ওই ছাত্রী(১২)কে রাস্তায়একা পাইয়া বলে, তোর আম্মা আমার কাছে দুইশত টাকা পায়, আমার বাড়ীতে আয়, আমি তোকে দুইশত টাকা দিব।একথা বলে ওই ছাত্রীকে গোয়াল ঘরে চৌকির উপর ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে।
মরাদনগর থানা অফিসার ইনচার্জ ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) কর্মকর্তা নাহিদ আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, এব্যাপারে মুরাদনগর থানায় ধর্ষিতার মা শাহিনা আক্তার বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন, মামলা নং ৯(৪) (খ) ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩, জোরপূর্বক ধর্ষনের চেস্টা করা অপরাধ। আসামী বিয়ের ঘটক বাহাউদ্দিন বাহর এঘটনার পর পালাতক রয়েছে। গ্রেফতার জোর প্রচেস্টা চলছে।