এরাই কি সাংবাদিক শাকিব বিপ্লবকে পানিতে চুবিয়ে হত্যা মিশনের সাথে জড়িত

Spread the love

রাব্বী মোল্লা,বাকেরগঞ্জ(বরিশাল) প্রতিবেদকঃতাহলে এরাই কি সাংবাদিক শাকিব বিপ্লবকে পানিতে চুবিয়ে হত্যার মিশনের সাথে জড়িত ছিলো? আজ বুধবার বরিশালের একটি পত্রিকায় ছবিসহ সংবাদ প্রকাশের পর এমন প্রশ্ন আজ গণমাধ্যম অঙ্গনের মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছে। তবে শাকিব বিপ্লবের ঘনিষ্টজনরা এই বৈঠকে শাকিবকে জিম্মি করে আনা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন। এদিকে ঘটনার পর থেকেই লোকলজ্জায় শাকিবের ফোন বন্ধ রাখা হয়েছে।

সংবাদে বলা আছে ‘বরিশাল সংবাদকর্মীদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টির কারনে গত ১০ অক্টোবর (প্রকৃত ঘটনা ১১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় যে উদ্ভূত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল তা ভুল বোঝাবুঝি মাত্র। বিষয়টি অনুধাবন করায় উভয়পক্ষ শান্তিপূর্ন সহাবস্থান করার প্রত্যয় ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গিকারবদ্ধ হয়ে বুধবার সন্ধ্যায় আজকের বার্তা কার্যালয়ে মিলিত হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি কাজী নাসির উদ্দিন বাবুল ও সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন।

তবে ছবিতে যারা ফটোশেসনে দেখা যাচ্ছে তারা হলেন বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের এককালের যুগ্ম-আহবায়ক আরেফিন তুষার, মেহেন্দিগঞ্জ ছাত্রদলের তৎকালীন নেতা আল মামুন, সাংবাদিক রিপন হাওলাদার ও এম মোফাজ্জেল।

তবে অভিযোগ রয়েছে আরিফিন তুষার, রিপন হাওলাদার, আল মামুন, এম মোফাজ্জেল কৌশলে ১১ অক্টোবর রাতে শাকিব বিপ্লবকে বরিশাল নগরীর ঐতিহ্যবাহী বিবির পুকুর পাড়ে ডেকে এনে নিয়ে আসেন। কথা বলার একপর্যায়ে বিবির পুকুরের পানিতে ফেলে দেয় সাংবাদিক শাকিব বিপ্লবকে। এরপর সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্যরা সাংবাদিক শাকিব বিপ্লবকে পানিতে চুবিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। এমনকি হত্যা করতে ব্যর্থ হওয়ায় চক্রটি ব্লাকমেইলের কৌশল অবলম্বন করে। অর্থাৎ শাকিব যখন পানি থেকে তীরে ওঠার চেষ্টা করে তখন একটি ভিডিও ধারণ করে চক্রের সদস্যরা। এরপরই ওই রাতেই ফেসবুকে ভিডিও ছেড়ে দেয়। পাশাপাশি একই সময়ে রিপপন হাওলাদারের বিডিক্রাইম নামে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে ওই ভিডিও আপলোড করে।

সর্বশেষ চক্রের সদস্যসহ তাদের আশ্রয় প্রশয়দাতাদের জিম্মিদশায় রাখা হয় শাকিব বিপ্লবকে। এরপর বর্বর ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার মিশনের লক্ষে বুধবার (১৪ অক্টোবর) রাতে পানিতে চুবিয়ে হত্যা চেষ্টাকারীদের সঙ্গে শাকিবকে একটি পত্রিকা অফিসে বৈঠকে বসানো হয়। পরবর্তীতে ভুল বুঝাবুঝির অবসান ঘটানোর কথা বলে বিভিন্ন মাধ্যমে হত্যাচেষ্টাকারীদের সঙ্গে সাংবাদিক শাকিব বিপ্লবের একটি ফটোশেসনের ছবি ছেড়ে দেয়া হয়।

এদিকে শাকিব বিপ্লবের পক্ষ থেকে ঘটনার বিচার চেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিলো। এহেন ন্যাক্কারজনক ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচারের দাবিতে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে সভাপতি শহীদুল ইসলাম পাইলট ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর বুধবার একটি বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠান। নেতৃবৃন্দ পুনরায় বিবৃতি পাঠিয়ে ঘটনার সুস্ঠু তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের আশা করেন যাতে এরুপ ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে যেমনটি বরিশালের সাংবাদিকরা আশা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *