ছেলে দেখি বউকে বলছে……
রাব্বী মোল্লা : ছেলে দেখি বউকে বলছে। ওগো লক্ষী সোনা, প্লট কিনেছি উত্তরায়। বৌ মা আমার ভেজায় খুশি আহল্লাদে আধখানা, যেন এমন কিছুই করবে স্বামী মহাশয় ছিলো তাহার জানা । গলায় ঝুলে বলছে বউয়ে, প্লটখানায় কি বাড়ি করবে না। ছেলে বলে শোন গো লক্ষী, এইতো সবে ফাইল আটকিয়েছি গোটা দশেক হলো, এবার বুঝি কোটি টাকায় পকেট ভরে গেলো। যেমন খুশি করবো বাড়ি ভিনদেশী ডিজাইনে, সাতাঁর কাটবো সেই বাড়িতে সল্প বসনে। বউ বলছে আমার কথা মন দিয়ে শোন। আমরা থাকবো দুই তলাতে ঝামেলা নাই কোন, খোকা থাকবে উত্তরে আর খুকি দক্ষীনে, আব্বু আম্মু বেড়াতে এলে থাকবে মাঝের রুমে। ফিস ফিসিয়ে ছেলে বলে আমার মা থাকবে কোথায় তা তো বললে না, মুখ ঝামটিয়ে বউ বলে। স্বামীহারা বুড়ো মানুষ এতো শখ কেন, বুয়ার রুমেই থাকবে সে তাহার রুম লাগবে না। ছেলে যেন ভয় পেল নিচু স্বরে বলে । মায়ের জন্য রুম না রাখলে লোকে বলবে কি, বউ এবার অগ্নী মূর্তি চেচিঁয়ে বলে, চুপ করো আমরা কি লোকের টাকায় বাড়ি করছি নাকি। তোমার মা কে বের করে দিয়েছি। ছেলে আমার ভীষন ভালো ঝগড়া করে না, প্রয়োজনে মা কে ছাড়বে তবু বউ হারাবে না। বউ যে তাহার সোনার হরিণ রুপ বাহারীর ক্ষনী, বউয়ের কিছু হলে পরে খেতে হবে শাশুরীর বকুনী। ছেলে আমার বিক্রি হয়েছে আপন খেয়ালে, উপায় নেই এখন আর কি হবে মাথা ঠুকে দেয়ালে। লোভনীয় চাকুরী আর রুপসী কন্যা পয়সাওয়ালা শশুর আর ঘুষের বন্যা। একলা একা কাদঁছি শুধু এই কথাটা ভেবে, অবুঝ আমার সোনার মানিক মানুষ হবে কবে।