কোরবানপুর হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘর ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ করেছে একটি স্বার্থনেসি মহল।। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা নয়—–সংসদ সদস্য ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন
আবুল কালাম আজাদ:কোরবানপুর হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে একটি স্বার্থনেসি মহল। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা নয়। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হলে যা সামনে পেত তাই জ্বালাতো। এটা সম্পূর্নভাবে পরিকল্পিত। ব্যক্তিস্বার্থ, ব্যক্তি শন্ত্রুতা। মুরাদনগর মানুষ শ্বান্তিতে আছে। মানুষ উন্নায়নের দিকে বহু এগিয়ে গেছে। তাই তাদের গায়ে জ্বালা জ্বলছে।গতকাল রোববার(১৫ নভেম্বর)দুপুরে মুরাদনগরে সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্য অব্যাহত রাখার লক্ষে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এক সম্প্রীতি সমাবেশ উপজেলা পরিষদের কবি নজরুল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ওই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন (এমপি)এসব কথা বলেন।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাশের সভাপতিত্বে উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা কবির আহামেদের উপস্থাপনায় সম্প্রীতি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ম. রুহুল আমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ তমাল, বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার, মুরাদনগর থানার ওসি (তদন্ত) নাহিদ আহম্মেদ, ইউপি চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন, বণ কুমার শিব, রহিমপুর অযাচক আশ্রমের অধ্যক্ষ ডা: যুগল ব্রম্মচারী, শ্রীকাইল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ গোরাঙ্গ পোদ্দার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাওলানা জহিরুল ইসলাম, করিমপুর মাদরাসার মুফতী মানসুরুল কবির, জাহানারা হক ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মেজর আসাদুজ্জামান, ঘোড়াশাল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা তাজুল ইসলাম, পীর কাশিমপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন সরকার, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি কেন্দ্রিয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক গাজীউল হক চৌধুরী প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন কুরুন্ডি দাখিল মদিরাসার সুপার মাওলানা আনম জসিম উদ্দিন মোল্লা ও গীতা পাঠ করেন থোল্লা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শুক্লা সেন গুপ্তা। সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্য অব্যাহত রাখার লক্ষে সম্প্রীতি সমাবেশে বক্তার বলেন,কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ম. রুহুল আমিন বলেন, হিন্দু-মুসলমান সবাই এক।একে অপর ধর্মকে সম্মান দেখাতে হবে।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মুসলিমরা যেমন এদেশের নাগরিক তেমনি হিন্দুরাও এদেশের নাগরিক।বাংলাদেশ একটা অসম্প্রাদিক দেশ। রাস্ট্রের প্রচলিত আইনে সকলেই সমান অধিকার আছে।এক ধর্ম অন্যধর্মকে সম্মান দেখানো উচিত।উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ তমাল বলেন, সরযন্ত্রকারীদের দেখতে চাই। লেভাসধারী নেতা কর্মীরা এ কাজ করেছে।বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন,এবার কালী পূজায় হিন্দুদের চেয়ে মুসলমান বেশী দেখেছি।ধর্মকে পূজি করে বিশ্রীঙ্খলা করা যাবে না। বিশ্রীঙ্খলাকারীদের গ্রেফতার করা হবে।মুরাদনগর থানার ওসি (তদন্ত) নাহিদ আহম্মেদ বলেন, আগুন নিয়ে খেলা করবেন না। আইনের আওতায় আনা হবে।ইউপি চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন বলেন, হিন্দুদের বাড়িঘর এবং মন্দিরে হামলা , লাটপাট এবং অগ্নিসংযোগের দোষারোপ করেছে জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশ সাথে বিএনপিকে।ইউপি’র চেয়ারম্যান বণ কুমার শিব বলেন,সেদিন ধর্মকে পূজি করে ধর্মান্ধা মানুষরা একত্রি হয়ে আমার বাড়ীঘর পুড়িয়েছে। রহিমপুর অযাচক আশ্রমের অধ্যক্ষ ডা: যুগল ব্রম্মচারী বলেন,হিন্দু সমাজ নিরহ।আমরা কখনও দূর্বল মনে করি না।আমাদের বেদনা এমপি মহোদয় উপলব্ধি করেছেন। শ্রীকাইল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ গোরাঙ্গ পোদ্দার বলেন, পূজা আসলে আমরা যেমন উপভোগ করি। ঈদ আসলেও আমরা উপভোগ করি। মুরাদনগর ইসলামী ফাউন্ডেশন প্রতিনিধি মাওলানা মোঃ জহিরুল ইসলাম বলেন, যারা ধর্মের নামে বিভিন্ন বাড়ীতে আগুন দিয়েছে তারা ইসলামের নামে ভন্ডামী করছে। উল্লেখ্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কমেন্টের জের ধরে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা কোরবানপুর হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের করেছে স্থানীয় একদল বাসিন্দা। রবিবার (১ নভেম্বর) বিকালে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা থানার ৪নং পূর্ব ধইর ইউনিয়নের কোরবানপুর গ্রামে ৯/১০টি পরিবারের বসতঘরেএ ঘটনা সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্য অব্যাহত রাখার লক্ষে সম্প্রীতি সমাবেশ আলোচনায় উঠে এসেছে।