পরিণাম মৃত্যু–জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহম্মদ আলতাফ হোসেন

Spread the love

অনলাইন ডেক্সঃ মানব জীবনে মৃত্যু এক অবধারিত সত্য,অনিবার্য বাস্তব।জগতের কোনো প্রাণী,কোনো কিছুই মৃত্যুহীন অবিনশ্বর নয়।জন্মাও মৃত্যুর জন্য আর নির্মাণ কর বিলুপ্তির জন্য।অর্থাৎ জন্মের পরিণাম মৃত্যু আর নির্মাণের পরিণাম ধ্বংস।আরবের এক কবির পুণ্য-পংক্তি-ওহে !আল্লাহ ছাড়া যা কিছু সবই মরণশীল।আর আনন্দের সকল কিছু নিঃসন্দেহে ধ্বংসশীল।এই যে স্পষ্ট বাস্তবতা,কুরআন তা বর্ণনা করেছে।এভাবে-প্রত্যেক,প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে।কুরআন এখানে এক বাস্তব সম্পর্কে সচেতন ও সচকিত করেছে।কারণ,যাদের জন্য কুরআন,সেই মানুষ তো উদাসীন হয়ে পড়ে প্রতিদিনের বাস্তবতা সম্পর্কেও।অথচ সচেতনতা ও চিন্তাশীলতার দ্বারা সে পেতে পারে সত্যের দিশা এবং হতে পারে সত্যপথের পন্থী।তাই কুরআন বারবার উল্লেখ করেছে জীবন ও জগতের বিভিন্ন বাস্তবতা।চারপাশে কত জনের মৃত্যু!তবুও মানুষ ভুলে থাকতে চায় নিজের মৃত্যুকে।কিন্তু ভুলে থাকলেই যে তা দূরে থাকে না!তাই কুরআন স্মরণ করিয়ে দেয়,মৃত্যু শুধু ওদের জন্য নয়,যারা মারা গেল,বরং ওদেরও জন্য,যারা এখনো মারা যায়নি।মৃত্যুর স্মরণে ক্ষতি নেই;বরং আছে উপকার,বহু উপকার। মৃত্যুর স্মরণ মানুষকে দান করেস ক্ষণস্থায়িত্বের উপলব্ধি।এউপলব্ধি মানুষের মোহমুক্তি ঘটায়।অর্থ-বিত্ত,পদপদবী,ভোগ-ফূর্তি এবং ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের মোহই তো সকল ব্যাধির মূল,ব্যক্তি ও সমাজের সকল অশান্তির কারণ।মৃত্যুর স্মরণ মানুষকে মুক্ত করে এই মোহগ্রস্ততা থেকে ।তাই তা এক মহৌষধ মানুষের নৈতিক ও চারিত্রিক শুদ্ধির।আর তাই মানব-মনে মৃত্যুর যে আবেদন তা বিনষ্ট করা কোনো মঙ্গলকর্ম নয়,নয় সমাজের হিত সাধন; বরং তা শুদ্ধি ও সংস্কারের এক বড় অবলম্বনের বিনাশ সাধন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *