বাঙ্গরায় কিশোর কিশোরী ক্লাব স্থাপন

Spread the love

একে এম মহসিন ভূ্ইয়া, বাঙ্গরা বাজার থানা প্রতিবেদকঃ বাঙ্গরায় কিশোর কিশোরী ক্লাব স্থাপনে ১২৬ জন ফিল্ড সুপারভাইজার,১০৯৫ জন জেন্ডার প্রোমোটার, ৪৮৮৩ জন সঙ্গীত শিক্ষক ও ৪৮৮৩ জন আবৃত্তি শিক্ষক নিয়োজিত রয়েছে। গতকাল বুধবার বেতন-ভাতা বিহীন “কিশোর কিশোরী ক্লাব স্থাপন” প্রকল্পের ১০৮৬১ কর্মচারীরা ; কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা। শেখ হাসিনার উন্নয়ন, কৈশোরের জাগরণ” এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে লক্ষ্য রেখে ২৪ নভেম্বর ২০১৯ইং থেকে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে পরিচালিত কিশোর কিশোরী ক্লাব স্থাপন প্রকল্পের আওতায় ৪৮৮৩ টি ক্লাবের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এপ্রকল্পের আওতায় ১২৬ জন ফিল্ড সুপারভাইজার,১০৯৫ জন জেন্ডার প্রোমোটার, ৪৮৮৩ জন সঙ্গীত শিক্ষক ও ৪৮৮৩ জন আবৃত্তি শিক্ষক নিয়োজিত রয়েছে। জেন্ডার প্রোমোটাররা অনেক দক্ষতার সাথে ক্লাবগুলো পরিচালনা করেন। ক্লাবগুলোতে জেন্ডার প্রোমোটার, সঙ্গীত শিক্ষক ও আবৃত্তি শিক্ষকদের দৈনিক ভিত্তিতে যে ভাতাপ্রাপ্ত ছিল যা তাদের পরিবার চালানোর একমাত্র উপায় ছিল। করোনা ভাইরাস তাদের ২ বেলার খাবার কেড়ে নিয়েছে। ২৫ মার্চ থেকে আজ পর্যন্ত দীর্ঘ ৯ মাস ক্লাবগুলো বন্ধ থাকার কারনে তারা কোন প্রকার ভাতা পাচ্ছে না।এ কারনে বর্তমান পরিস্থিতিতে ১০৯৫ জন জেন্ডার প্রোমোটার, ৪৮৮৩ জন সঙ্গীত শিক্ষক ও ৪৮৮৩ জন আবৃত্তি শিক্ষকের জীবন পরিচালনা করা অনেক কষ্টকর হয়েছে। অথচ একই প্রকল্পের ফিল্ড সুপারভাইজাররা নিয়মিত বেতন পাচ্ছে। অনেক অপেক্ষার পর গত ১৭ নভেম্বর প্রকল্প স্টিয়ারিং কমিটি(পিইসি)’র এক মিটিং-এ মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী রওশন আক্তারের সভাপতিত্বে এক অমানবিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রায় ১০৮৬১ জন মানুষের জীবনকে বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। দৈনিক ভিত্তিকের অজুহাত দেখিয়ে করোনা মহামারিতে ১০৮৬১ কর্মচারীকে বর্তমান প্রর্যন্ত বেতন থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। অথচ ডিপিপিতে কোথাও “কাজ নাই ভাতা নাই” শব্দটি লেখা নাই। করোনা মহামারিতে সবাই প্রনোদনা পেয়েছে। এই প্রকল্পের কর্মচারীরা দীর্ঘ দিন ধরে অভাব অনটনে বিপর্যস্ত অবস্থায় জীবন পরিচালনা করছে। এই প্রকল্পের মাঠ পর্যায়ে জনবলের মাধ্যমেই বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, কিশোর অপরাধ দমন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ, জেন্ডার বেইজ ভায়োলেন্স দূরীকরণ, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে দেশকে একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব বলে তারা মনে করেন। পিইসি মিটিং-এ। এই অমানবিক সিদ্ধান্ত ১০৮৬১ মানুষের মনোবল ভেঙে দিয়েছে যা প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *