বুড়িচং উপজেলা প্রশাসন ও বাজার কমিটির ব্যবসায়ীদের জরুরী বৈঠকে সিদ্ধান্ত
বুড়িচং প্রতিবেদক ঃ বৃহস্পতিবার বিকালে বুড়িচং উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি ও উপজেলা সদর বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সাম্প্রতিক করোনা সংক্রমণের কারনে বিভিন্ন বাজারে দোকান পাঠে জন সমাগম অস্বাভাবিক অাশঙ্খা জনক হারে বৃদ্ধিতে জরুরী এক বৈঠক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য যে বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে উপজেলার সকল জন সাধারণের স্বাস্থ সুরক্ষা ও মৃত্যু ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরুল হাসান। জরুরী বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে জন সাধারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষার,জীবন বাচিয়ে রাখার জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় অাগামী শনিবার থেকে পুরো উপজেলার সকল বাজারের ঔষধ, মুদি, খাবার, জরুরী প্রয়োজনীয় দোকান ছাড়া কাপড় দোকান, গন পরিবহন গুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কেউ যদি এ গৃহীত সিদ্ধান্ত অমান্য করে তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্হা নেয়া হবে। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান অাখলাক হায়দার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা মীর হোসেন মিঠু, বুড়িচং থানার ওসি মোঃ মোজাম্মেল হক পিপিএম, উপজেলা অাওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মশিউর রহমান খান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মোস্তফা মাঈদুল মোর্শেদ মুরাদ, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ সফিকুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শামীম হোসেন, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা অাব্দুল অাউয়াল,উপজেলা অাওয়ামীলীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন বাচ্চু, উপজেলা ছাত্র লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ বাছির খাঁন। অারো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সদর বাজার কমিটির সভাপতি হাজী মোঃ ছাফর অালী মেম্বার, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান খান, বাজার কমিটির সদস্য যথাক্রমে মোঃ অারিফুর রহমান, মোঃ সফিকুল ইসলাম, মোঃ অাইয়ূব অালী মেম্বার, অামিরুল ইসলাম, হাজী মফিজুল ইসলাম প্রমুখ। সরেজমিনে এবং উপজেলা ছাত্র লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ বাছির খাঁন সহ একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন যে গত ১০ মে থেকে বুড়িচং উপজেলা সদরের বিভিন্ন বিপনি বিতান সহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সমূহে উদ্বেগ ও অাশন্কা জনক হাজারে ক্রেত্রা, সাধারণ মানুষ এবং মহিলাদের সমাগম ব্যপক হারে বৃদ্ধি পেয়ে যায়। যার ফলে জন মনে করোনা সংমন সংক্রান্ত ভয়ভীতি দেখাদেয়। বুড়িচং উপজেলা সদরের বাজার সহ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ বাজার সমূহ যেমন কংশন বাজার, নিমসার বাজার, ভরাসার বাজার, অাবিদপুর, ভারেল্লা, কালিকাপুর, ফকির বাজার, শংকুচাইল সহ অন্যান্য বাজার। এসমস্ত বাজার সমূহে অাশে পাশের উপজেলা যেমন কুমিল্লা সদর, দেবিদ্ধার, ব্রাহ্মণপাড়া, বরুড়া, চান্দিনা থেকে বেশীর মহিলা ক্রেতা শিশুদের বাজার সমূহের বিপনি বিতান সহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চরম ভীড় জমায়। এসমস্ত বাজার সমূহে ক্রেতারা ও বিক্রেতা গন সামাজিক কোন দূরত্ব বা নিয়মনীতি মানছেন না। অপর দিকে উপজেলা প্রশাসনের একটি নির্ভর যোগ্য সূত্র জানায় কুমিল্লা শহরের কোথাও কোন কাপড়ের দোকান খুলা না থাকায় ওই ব্যবসায়ী গন গোপনে বুড়িচং এসে কাপড় চোপড় কিংবা শাড়ী চড়া দামে বিক্রি করছে। যার ফলে অাদর্শ সদরের সহ অন্য স্হানের লোক জন বেশীর ভাগ মহিলা ক্রেতা গন নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে প্রশাসনের সামনে ভীর জমিয়ে মার্কেটে মার্কেটে অযথা ঘুরাঘুরি করতে থাকে। এতে প্রশাসন, পুলিশ, স্বস্হ বিভাগ বিমোচিত হয়ে পড়ে। দিন দিন পাশের উপজেলা গুলোতে করোনা সংক্রমণের ভাইরাস ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েন। এই দিকে উপজেলা অাওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মশিউর রহমান খান বলেণ ৫ দিন ধরে বাজারে পুরুষ ক্রেতা থেকে মহিলা ক্রেতার অধিক হারে উপস্থিতি বেশি দেখা যায়। যার ফলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরুল হাসানকে অবহিত করা হলে তিনি বিগত সময় গুলোতে সেনাবাহিনী, বুড়িচং থানার ওসি এবং পুলিশ বাহিনী অভিযান চালিয়ে কিছু কিছু বাড়ি পাঠালে ও কিন্তু পুনরায় গনজমায়েতের সৃষ্টি হত। কিছুতে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিলনা।